ছবি ও ভিডিওতে সিরিয়ায় পশ্চিমাদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের চালানো ৭০ মিনিট স্থায়ী যৌথ হামলায় সিরিয়ার স্থাপনাগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া সেসব স্থাপনার ছবি প্রকাশ করতে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে সিরিয়ার সন্দেহভাজন তিনটি রাসায়নিক অস্ত্র স্থাপনা লক্ষ্য করে মিসাইল হামলা শুরু করে পশ্চিমা দেশগুলো। ধোঁয়া উড়তে থাকা ধ্বংসস্তুপে সিরিয়ার আসাদ সরকার সমর্থিত বাহিনীর সদস্যদের কাজ করতে দেখা গেছে প্রকাশিত ছবিগুলোতে।

পশ্চিমা বিমান হামলায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া সিরিীয় স্থাপনা
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে একটি রাসায়নিক অস্ত্র গবেষণাগার ও হোমস শহরের কাছের একটি রাসায়নিক অস্ত্র মজুদ স্থাপনা ও একটি রাসায়নিক হামলায় ব্যবহৃত কমান্ড সেন্টারে হামলা চালানো হয় বলে দাবি করছে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা।

noname
ওই হামলার ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করতে গিয়ে মার্কিন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেনেথ ম্যাককেনজি বলেছেন, কমান্ড সেন্টারটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে আর সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রের কর্মসূচি অন্তত তিন বছর পিছিয়ে গেছে।



noname

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের হামলায় রাসায়নিক অস্ত্রের তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করেছেন সিরিয়ার সাবেক এক কর্মকর্তা। আবদুলসালাম আব্দুলরাজাক রাসায়নিক কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্য এই কর্মকর্তা বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে মার্কিন সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসকে (এপি) সাক্ষাৎকার দেন। 

noname

তিনি বলেছেন, ২০১৩ সালে রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ হওয়ার আগে সিরিয়ায় আনুমানিক ৫০টি গুদাম ছিল। এসব গুদামে রাসায়নিক অস্ত্র মজুত রাখা হতো। তিনি বিশ্বাস করেন, এসব গুদাম এখনও সেখানেই আছে নয়তো সামান্য সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

noname

উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট-ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টোলেনবার্গ বলেছেন,  সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র স্থাপনা লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের হামলায় ন্যাটোভুক্ত সব দেশ সমর্থন দিয়েছে।

nonameতিনি বলেন, সিরিয়ার সরকারের রাসায়নিক অস্ত্র সক্ষমতা কমানো ও দৌমার মতো বিভিন্ন এলাকায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর আবার কোনও রাসায়নিক হামলা বন্ধ করার লক্ষ্যে এসব হামলা চালানো হচ্ছে।

noname

জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের দূত নিকি হ্যালি বলেছেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকার যদি আবারও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে হামলা চালানোর জন্য একেবারে প্রস্তুত রয়েছে। শনিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে একথা জানান তিনি।

noname

নিকি হ্যালি বলেন, আমরা নিশ্চিত যে, আমরা সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচি খর্ব করতে পেরেছি। যদি সিরিয়ার শাসক আমাদের সংকল্প পরীক্ষা করতে চাওয়ার মতো বোকা হয় তাহলে আমরা এই চাপ অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত।

noname