বিক্ষোভ নয়, ঘর সামলানোই নারীর কর্তব্য: ইসরায়েলি সেনাবাহিনী

ফিলিস্তিনি নারীদের ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। চলমান ভূমি দিবসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী নারীদের উদ্দেশে ইসরায়েলি সেনা মুখপাত্র অ্যাভিচ্যা আদ্রেয়ি বলেছেন, ঘর সামলানো আর সন্তানের যত্নআত্তি করাই তাদের প্রধান কর্তব্য। ৫ এপ্রিল এক টুইটার বার্তায় এই মন্তব্য করেছেন আদ্রেয়ি। তবে তার মন্তব্যকে ঘিরে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হওয়ায় টুইটার বার্তাটি নতুন করে আলোচনায় এসেছে।
ফিলিস্তিনি নারীর মুক্তিকামী প্রতিরোধ

১৯৭৬ সালের ৩০শে মার্চ ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে ফিলিস্তিনের ভূমি দখল করে ইহুদি বসতি নির্মাণের প্রতিবাদ করায় ছয় ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়। পরের বছর থেকেই ৩০ মার্চ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত পরবর্তী ছয় সপ্তাহকে ভূমি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে ফিলিস্তিনিরা। নারীদের অংশগ্রহণের ব্যাপকতা এবারের ভূমি দিবসের কর্মসূচিকে করে তুলেছে স্বতন্ত্র। ইসরায়েলি সেনা মুখপাত্র সম্প্রতি  এই নারীদেরকেই ঘরে ফেরার পরামর্শ দিয়েছেন।

অ্যাভিচ্যা আদ্রেয়ি  টুইটার বার্তায় ৫ তারিখে লিখেছেন, ‘সত্যিকারেরর নারী হিসেবে কেবল তাদেরই শ্রদ্ধা করা যায় যারা ঘর সামলান আর সন্তানদের দেখাশোনা ও যত্নআত্তি  করেন। এইসব কর্মকাণ্ডে যাদের মনোযোগের অভাব রয়েছে, তারা নারীসুলভ বৈশিষ্ট্যের বাইরের। সমাজ তাদের ভালো চোখে দেখে না।’ তিনি আরও লিখেছেন,  ‘মেধাই নারীদের অস্ত্র, নারী-প্রকৃতিই তাদের শক্তি।' ফিলিস্তিনি প্রতিরোধে যুক্ত নারীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সেইসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিতদের মধ্যে নারীত্বের বৈশিষ্ট্য কোথায়?’   
ইসরায়েলি সেনা মুখপাত্রের সেই টুইট

চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২০ এপ্রিলের বিক্ষোভ মিছিলটি ‘উইম্যানস মার্চ অব গাজা’ আখ্যা পেয়েছে। আল জাজিরার খবর অনুযায়ী, ৩০ মার্চ শুরু হওয়া ভূমি দিবসের কর্মসূচি গ্রেট রিটার্ন মার্চ শুরু হওয়ার দিন থেকে ২০ এপ্রিল শুক্রবার পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর স্নাইপারে ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১৬০০জন। নিহতদের মধ্যে শিশু থাকলেও কোনও নারী নেই। আহত নারীর সংখ্যা ১৬০।