রাশিয়ার বিজয় দিবসের প্যারেডে পুতিন-নেতানিয়াহু

রাশিয়ার বিজয় দিবসের প্যারেডে অংশ নিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বুধবার মস্কোর রেড স্কয়ারে অনুষ্ঠিত এ প্যারেডে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যোগ দেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। চতুর্থ মেয়াদে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণের পরই এ প্যারেড ও সমরাস্ত্র প্রদর্শনীতে অংশ নেন পুতিন। অন্যদিকে ইরানের পরমাণু ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের মতো রাশিয়াকেও পাশে চাইছে ইসরায়েল।

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং ভ্লাদিমির পুতিননেতানিয়াহু ছাড়াও সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভাজকিক’ও প্যারেডে অংশ নেন। ইসরায়েলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য জেরুজালেম পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, ভ্লাদিমির পুতিন এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে ব্যক্তিগতভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

প্যারেড শেষে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সেনাদের স্মরণে এক আয়োজনে অংশ নেন পুতিন-নেতানিয়াহু। পরে রুশ প্রেসিডেন্টের দফতর ক্রেমলিনের এক আয়োজনে অংশ নেন দুই নেতা।

রাশিয়ার উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে নেতানিয়াহু বলেন, আমি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের জন্য যাচ্ছি। আমাদের বৈঠক সব সময়ই বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই মুহূর্তে সিরিয়ায় যা ঘটছে, তাতে রাশিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে অব্যাহত নিরাপত্তা সহযোগিতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

২০২৪ সাল পর্যন্ত রাশিয়া শাসন করবেন পুতিন। তার প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে নিজের অবস্থান সুসংহত করতে চায় ইসরায়েল। একইসঙ্গে ইরানের ব্যাপারে নিজের উদ্বেগ সম্পর্কে রাশিয়ার ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি কামনা করে তেল আবিব।

বুধবার রাশিয়ার বিজয় দিবসের প্যারেডে অংশগ্রহণের আগে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে তেহরানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ তোলেন নেতানিয়াহু। তার দাবি, ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি ক্ষুণ্ন করে গোপনে পারমাণবিক কর্মসূচি চলমান রেখেছে ইরান। ইসরায়েলের হাতে তেহরানের এ সংক্রান্ত নথির অনুলিপি রয়েছে।

ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তেহরানের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করে আসছেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

ইরান ও ইউরোপীয় শক্তিগুলো ট্রাম্পের এমন অবস্থান প্রত্যাখ্যান করলেও দৃশ্যত এ ইস্যুতে তেহরানের মিত্র মস্কোর সমর্থন লাভের প্রয়াস চালাবে ইসরায়েল।

উল্লেখ্য, ওবামা প্রশাসনের সময় ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে তেহরানের সম্পাদিত পরমাণু চুক্তিকে শুরু থেকেই নেতিবাচক অবস্থান থেকে দেখছে তেল আবিব। এ নিয়ে ওবামা প্রশাসনের সঙ্গে তাদের দূরত্ব তৈরি হয়। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর দৃশ্যত এ চুক্তি নিয়ে ইসরায়েলের অবস্থানেরই পুনরাবৃত্তি করেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সূত্র: দ্য জেরুজালেম পোস্ট, রয়টার্স।