রবীন্দ্রনাথ নোবেল পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন: ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী

একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্যের খাতায় আরও একটি মন্তব্যের সংযোজন ঘটালেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন উপলক্ষে উদয়পুরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেনছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার নোবেল পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার নাইট উপাধি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, কখনও নোবেল পুরস্কার ফেরত দেননি।

বিপ্লব কুমর
একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বারবারই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসেন বিপ্লব৷ তার মন্তব্যের জেরে বেশ কয়েকবার বিপাকেও পড়েছে বিজেপি শিবির৷ এমনকি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও তাকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন৷ কিন্তু তারপরও লাগামহীন মন্তব্যে আবারও বিতর্কে জড়িযেছেন বিপ্লব কুমার দেব৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ৪৬ বছর বয়সী ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী উদয়পুরে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে বলছেন, ‘ব্রিটিশ শাসনের বিরোধিতা করে নোবেল পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন রবিঠাকুর৷’

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। ১৯১৫ সালে পেয়েছিলেন নাইট উপাধি। ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালা বাগ হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে রবীন্দ্রনাথ ব্রিটিশ সরকারের দেওয়া নাইট উপাধি প্রত্যাখ্যান করেন। কিন্তু তিনি কখনও নোবেল পুরস্কার ফেরত দেননি।

‘মহাভারতের যুগ থেকেই ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল’ উল্লেখ করে বক্তব্য দেওয়ার পর বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন বিপ্লব দেব। সমালোচনার মুখে পড়ে আবার পালটা যুক্তি দেন তিনি। বলেন, দেশের ঐতিহ্যকে যারা অস্বীকার করেন তারা আসলে দেশকে ছোট করেন।  এরপর ১৯৯৭ সালে মিস ওয়ার্ল্ড বিজয়ী ডায়না হেডেনকে নিয়ে মন্তব্য করেন বিপ্লব। তার বিজয়লাভকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বিপ্লব বলেন, ‘ডায়না হেডেন ঐশ্বরিয়া রায়ের মতো ভারতীয় কোনও সুন্দরী নন।’ অবশ্য পরে এ নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। কিন্তু তারপরও থেমে যাননি বিপ্লব।

আগরতলায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিপ্লব বলেছিলেন, ‘মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের সরকারি চাকরি করা উচিত নয়, কেবল সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদেরই তা করা উচিত।’ এর কয়েক সপ্তাহ আগে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রাজুয়েটদের সরকারি চাকরির পেছনে ছোটা উচিত নয়, তাদের উচিত পান দোকান চালু করা।’