ভারতের হরিয়ানার পঞ্চকুলায় একটি পার্ক করা গাড়িতে সাত সদস্যের এক পরিবারের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাতে ওই পরিবারের ছয়জন সদস্যের মৃতদেহ গাড়ির ভেতর পাওয়া যায়। সপ্তম ব্যক্তি গাড়ির বাইরে বসেছিলেন। তিনি পাঁচ মিনিটের মধ্যে মারা যাবেন বলে জানিয়েছিলেন বলে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে জানিয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের বরাতে খবরে বলা হয়েছে, ঋণের বোঝা ও আর্থিক সংকটে বিপর্যস্ত হয়ে পরিবারটি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। গাড়িতে ছিলেন দেরাদুনের বাসিন্দা প্রভিন মিত্তাল (৪২), তার বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী ও তিন শিশু—১৩ বছর বয়সী দুই যমজ মেয়ে ও ১৫ বছর বয়সী ছেলে হার্দিক।
স্থানীয় বাসিন্দা পুনীত রানা বলেন, রাতের দিকে তিনি একটি উত্তরাখণ্ড নম্বরপ্লেটের গাড়ি দেখতে পেয়ে কৌতূহলবশত কাছে যান। গাড়ির সামনে একটি তোয়ালে ঝুলছিল, যা অস্বাভাবিক মনে হয় তার। গাড়ির পাশে বসা এক ব্যক্তি (ধারণা করা হয় প্রভিন মিত্তাল) তাকে জানান, তারা বাগেশ্বর ধাম থেকে ফিরছিলেন এবং রাত কাটানোর জন্য গাড়িতে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পুনীত রানা বলেন, আমি গাড়ির ভেতর তাকাতেই ভয়াবহ দৃশ্য দেখি। ছয়জন মানুষ শুয়ে আছে, বমিতে ভরা গাড়ি। ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করতেই তিনি বলেন, আমার পরিবার আত্মহত্যা করেছে, আমিও পাঁচ মিনিটের মধ্যে মরব। তিনি বলেন, তাদের প্রচুর ঋণ, আত্মীয়রা সাহায্য করেনি।
দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও সাতজনকেই মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পুলিশ গাড়ি থেকে একটি আত্মহত্যার নোট উদ্ধার করেছে, যার বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি।
পঞ্চকুলার ডিসি পুলিশ হিমাদ্রি কৌশিক বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। বৈজ্ঞানিক প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। মৃতদেহগুলো একটি বেসরকারি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।