ইইউ ত্যাগের পরও এক সঙ্গে কাজ করতে চায় যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৫

ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের পরও ইইউরোপের বাকি দেশগুলোর গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বজায় রাখতে চায় যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৫। তাদের প্রত্যাশা, যুক্তরাজ্যের ইইউরোপিয়ান ইইউনিয়ন ত্যাগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পরেও যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ইইউরোপের বাকি দেশগুলোর গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে এক যোগে কাজ করে যেতে পারবে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স লিখেছে, সোমবার জার্মানিতে অনুষ্ঠিতব্য সভায় এম আই৫-এর প্রধান পারস্পারিক সহযোগিতার এই আহ্বান জানাবেন। ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে প্রকাশ্য বক্তব্য দিতে যাচ্ছেন এমআই৫ এর কোনও প্রাধান কর্মকর্তা।mi5

মূলত ইসলামিক স্টেটের সন্ত্রাসী হামলা ও ইইউরোপীয় সরকারগুলোকে অস্থিতিশীল করতে রাশিয়ার ‘ষড়যন্ত্র’ নস্যাৎ করে দিতে এক সঙ্গে কাজ করে যেতে চায় এমআই৫। সংস্থাটির প্রধান অ্যান্ড্রু পার্কার সোমবার জার্মানিতে সেই দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা বিএফভি কর্তৃক আয়োজিত সম্মেলনে তার নির্ধারিত ভাষণে বলবেন, ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিরা আরও বেশি ভয়ঙ্কর হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার ভাষণে একথাও থাকবে, ‘ইইউরোপীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে ৫ বছর আগেও যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ছিল, এখন তা নেই। আজকের বিশ্বে সহযোগিতামূলক সেই সম্পর্ক আমাদের যেকোনও সময়ের চেয়ে বেশি দরকার।’ যুক্তরাজ্যের মাটিতে রাশিয়ার সাবেক গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়ে ইইউলিয়াকে নার্ভ গ্যাস ব্যবহার করে হত্যার চেষ্টা করার বিষয়ে তিনি সরাসরি ক্রেমলিনকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘনকারী’ হিসেবে অভিযুক্ত করবেন। এমন ঘটনা রাশিয়াকে ‘ আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন দেশে পরিণত করবে।’ রাশিয়াকে সালসবুরি হামলার ওই ঘটনায় অভিযুক্ত করে তিনি  বলবেন, রাশিয়ার ‘গোয়েন্দা সংস্থা ও সামরিকবাহিনী আগ্রাসী ও ক্ষতিকর কাজে জড়িয়ে আছে।’ এমআই৫-এর ডিরেক্টর জেনারেল অ্যান্ড্রু পার্কারের ভাষণের সারসংক্ষেপ স্নগবাদ্মাধ্যগুলর কাছে আগাম প্রকাশ করা হয়েছে।

এদিকে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান লিখেছে, শুধু এমআই৫ নয় যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬ ও জিসিএইচকিউও ইইউরোপীয় ইইউনিয়নে থাকা দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করতে চায়।  ২০১৭ সালে ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন চুক্তিতে বাণিজ্যিক সুবিধা আদায়ে যখন থেরেসা ইইউরোপীয় নিরাপত্তার বিষয়টিকে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যিক সুবিধা দায়ের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন, তখন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর চাপেই তাকে সে অবস্থান থেকে সরে আসতে হয়েছিল।