যৌন নিপীড়ন প্রশ্নে চিলির সব বিশপের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত

চিলিতে দায়িত্বরত ৩১ জন বিশপের সবাই পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।  চার্চে শিশুদের ওপর যৌন নিপীড়নের মতো ঘৃণ্য ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়ার পর তারা ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। নিপীড়িনের শিকার শিশুদের কাছে ‘মারাত্মক’ এই ‘ভুল’র জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন তারা। ফরাসি অনলাইন ফ্রান্স-২৪ এর খবর থেকে এসব কথা জানা গেছে। ভ্যাটিকানের ইতিহাসে একইসঙ্গে একটি দেশের সব পোপের পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম।
noname

ভ্যাটিক্যান সিটিতে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে গতকাল (শুক্রবার) এক বৈঠকের পর চিলির সব বিশপ নজিরবিহীনভাবে পদত্যাগ করেন। তবে এসব বিশপের পদত্যাগপত্র পোপ গ্রহণ করেছেন কিনা তা পরিষ্কার নয়। পোপ বলেছেন, “এ ঘটনায় আমরা সবাই দায়ী; তবে সবার আগে আমি দায়ী এবং একজনের দায় অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে কেউ এ থেকে রেহাই পেতে পারি না।”

যৌন নিপীড়নের অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছেন বিশপ জুয়ান ব্যারোস। নিজের পদের অপব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে নিপীড়নের তদন্ত বাধাগ্রস্ত করেছিলেন জুয়ান। ৭০ ও ৮০’র দশকে ছেলে শিশুদের ওপর যৌন নিপীড়ন চালানোর দায়ে ২০১১ সালে ব্যারোস দোষী সাব্যস্ত হন। ৬১ বছর বয়সী ব্যারোস গত সাত বছরে বেশ কয়েকবার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কিন্তু তা গ্রহণ করা হয় নি।

গত জানুয়ারিতে পোপ ফ্রান্সিস চিলির বিশপ জুয়ান ব্যারোসের পক্ষে সাফাই গাওয়ার পর ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছিলেন। ব্যারোসের পক্ষে পোপ ফ্রান্সিস বিতর্কিত বক্তব্য দেয়ার পর চিলির অন্তত নয়টি গির্জায় আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।  তবে পোপ এবার তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।