ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের তদন্ত চেয়েছে ফিলিস্তিন

সদ্য সমাপ্ত ভূমি দিবসের কর্মসূচিতে ইসরায়েলের গুলিতে শতাধিক মানুষের প্রাণহানিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের তদন্তের দাবি তুলেছে ফিলিস্তিন। ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল মালিকি মঙ্গলবার হগভিত্তিক আদালতের প্রসিকিউটরদের পূর্ণ তদন্তের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন।  ওই চিঠিতে মালিকি বলেছে ফিলিস্তিনি সীমানায় ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ‘অলঙ্ঘনীয়’ প্রমাণ রয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডলইস্ট আই এই খবর জানিয়েছে।noname
ফিলিস্তিনিদের সদ্য সমাপ্ত ভূমি দিবসের ৬ সপ্তাহের গ্রেট রিটার্ন মার্চ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছে শতাধিক ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। শুধু ১৪ মে’র বিক্ষোভেই ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত ও দুই হাজারেরও বেশি আহত হন। মঙ্গলবার ফিলিস্তিনের দেওয়া চিঠিতে ২০১৪ সালের ঘটনায় শুরু হওয়া তদন্তে এই বছরের হত্যাঘজ্ঞকেও যুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।

সনদের স্বাক্ষর করা ১২৩টি দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা শুনানির ক্ষমতা রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের। ইসরায়েলে এই আদালতের সনদে স্বাক্ষর না করলেও ফিলিস্তিন তা করেছে। আর সে কারণে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরায়েলের চালানো অপরাধের তদন্তের ক্ষমতা রয়েছে ওই আদালতের। অবশ্য ফিলিস্তিনের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যোগ দেওয়ার বিরোধীতা করে থাকে ইসরায়েলের মিত্র বেশিরভাগ বিশ্বশক্তি। তাদের আশঙ্কা এর মাধ্যমে শান্তি আলোচনা ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। মঙ্গলবার মালিকির দেওয়া চিঠিতে ওই তদন্তে ২০১৪ সালের ঘটনার পাশাপাশি গত কয়েকদিনের সংঘটিত অপরাধ যুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। মালিকি বলেন, এই চিঠির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালেতর প্রসিকিউটররা সম্ভাব্য অপরাধের ঘটনা তদন্তের আইনগত অধিকার পাবেন।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি ইসরায়েলের  গুলি চালানোর ঘটনায় প্রভাব ফেলার মতো পর্যাপ্ত ও অলঙ্ঘনীয় প্রমাণ রয়েছে। আমাদের বিশ্বাস তদন্ত শুরু করা ঠিক কাজ হবে আর এর মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান প্রসিকিউটর ফাতু বেনসৌদার সঙ্গে বৈঠকের পর মালিকি বলেছেন, আমরা চাই এই রেফারেল চিঠির মাধ্যমে প্রসিকিউটর কার্যালয় বিলম্ব না করে সব অপরাধের তদন্ত শুরু করুক। ‘ফিলিস্তিনি ক্ষতিগ্রস্থদের ন্যায়বিচারের জন্য আরও বিলম্ব ন্যায়বিচার অস্বীকার করার মতোই হবে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।