দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বরতার তদন্তে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) শরণাপন্ন হওয়ায় ফিলিস্তিনের প্রতি ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্র। এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে ট্রাম্প প্রশাসন। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ওয়াশিংটনে পিএলও অফিসের স্ট্যাটাস পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে কিনা তা নির্ধারণে আমরা সর্বশেষ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছি। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, দুই পক্ষের সরাসরি আলোচনাই টেকসই শান্তি অর্জনের একমাত্র পথ। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে এর সঙ্গে যুক্ত করে শান্তি অর্জনের কাছাকাছি যাওয়া যাবে না।
এর আগে মঙ্গলবার নেদারল্যান্ডের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক আদালতে গিয়ে প্রসিকিউটর ফাতু বেনসুদার সঙ্গে দেখা করেন ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল মালিকি। এ সময় তিনি আইসিসিকে ‘ইসরায়েলের অপরাধ’ তদন্তের আবেদন জানান।
আবেদনে ‘বসতি বিস্তার, ভূমি দখল, অবৈধভাবে প্রাকৃতিক সম্পদ শোষণ, নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা’র মতো বিষয়গুলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরে সাংবাদিকদের বলেন, চলমান ব্যাপক ও পদ্ধতিগতভাবে ছড়িয়ে পড়া অপরাধের শিকার ফিলিস্তিনিদের সুবিচার নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।