কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর শপথে সোনিয়া-রাহুল-মমতা

ভারতের কর্নাটক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন জেডিএস নেতা এইচ ডি কুমারস্বামী। বুধবার বিকালে বেঙ্গালুরুর বিধানসভা ভবনে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান গভর্নর বজুভাই বালা। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন কংগ্রেসের জি পরমেশ্বর। রাজ্যে জেডিএস-কংগ্রেস জোট সরকার গঠনের এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউপিএ চেয়ারম্যান ও কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও  জেডিএস নেতা এইচ ডি দেবগৌড়া, উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের মতো হাই প্রোফাইল নেতারা।

শপথ অনুষ্ঠানে সোনিয়া গান্ধীসহ প্রভাবশালী রাজনীতিকরাএ নিয়ে দ্বিতীয়বার কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হলেন কুমারস্বামী। এর আগে ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০০৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তিনি ২০ মাসের জেডিএস-বিজেপি জোট সরকারের নেতৃত্ব দিয়েছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং কর্ণাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

কুমারস্বামী বলেছেন, আগামী পাঁচ বছর জেডিএস-কংগ্রেস জোট সরকার চালানো তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিজেপি-বিরোধী বিভিন্ন নেতাদের উপস্থিতি রাজ্যের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন সমীকরণ তৈরি করেছে। এখান থেকেই ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে রুখতে বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার শপথ নিলেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

কর্ণাটকের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা ইয়েদুরাপ্পা বলেছেন, বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে কংগ্রেস-জেডিএস এ জোট গঠন করেছে।

কর্ণাটকে কোনও দলই রাজ্যে সরকার গঠনের মতো নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। সরকার গড়তে ১১২ বিধায়কের দরকার হলেও বিজেপি ১০৪ আসনে জয়ী হয়। অন্যদিকে, কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জেডিএসকে সমর্থনের ঘোষণা দেওয়ায় তাদের জোট ১১৭ আসনে পৌঁছায়। কিন্তু গভর্নর বজুভাই বালা বিজেপি নেতা ইয়েদুরাপ্পাকে সরকার গড়তে ডাকায় কংগ্রেস সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। আদালত ইয়েদুরাপ্পাকে আস্থাভোটে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দেন। ইয়েদুরাপ্পার ঝুলিতে প্রয়োজনীয় বিধায়ক না থাকায় অবশেষে আস্থাভোটের মুখোমুখি না হয়েই দুই দিনের মাথায় ইস্তফা দিতে বাধ্য হন ইয়েদুরাপ্পা। সূত্র: পার্স টুডে, এনডিটিভি।