কঙ্গোতে ইবোলা আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে প্রাণঘাতী ইবোলা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বুধবার (২৩ মে) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপ পরিচালক পিটার সালামা জানান, আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইবোলা মোকাবিলায় নিযোজিত চিকিৎসাকর্মীরা
মধ্য আফ্রিকার উত্তরাংশে কঙ্গোর উপত্যকায় প্রবাহিত ইবোলা নদী থেকে ইবোলাভাইরাসের নামকরণ করা হয়েছে। সর্বপ্রথম ১৯৭৬ সালে এ ভাইরাসের অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয়। ২০১৪-১৫ সালে পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলা ভাইরাসের সংক্রমণে ১১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। তখন বেশি আক্রান্ত হয়েছিল গিনি, সিয়েরা লিওন এবং লাইবেরিয়া। ২০১৪ সালে কঙ্গোতে ইবোলা সংক্রমণে ৪০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এ মাসের শুরুর দিকে কঙ্গোতে নতুন করে ইবোলার প্রাদুর্ভাব শনাক্ত হয়। আর ১৯৭৬ সালের পর এ নিয়ে নবমবারের মতো ইবোলা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে কঙ্গোতে।

বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপ পরিচালক পিটার সালামা বলেন, কঙ্গোতে ইবোলার প্রাদুর্ভাব ‘ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা’ স্পষ্ট। কারণ আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। সালামা জানান, ইবোলা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ‘মহামারীর সময়ের’ মতো করে স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগ মোকাবিলার চেষ্টা চালিয়েছে যাচ্ছেন।

কঙ্গোর শহরাঞ্চলেও ৭ জন ইবোলা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এ ব্যাপারে সালামা বলেন, ‘আগামী কয়েক সপ্তাহে বোঝা যাবে যে প্রাদুর্বাব শহর এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে কিনা, নাকি আমরা এটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ইবোলা আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুহার প্রায় ৫০ শতাংশ। কঙ্গোর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৮ মে নতুন করে ইবোলা শনাক্ত হওয়ার পর ২৭ জন নিহত হয়েছে এবং ৫৮ জনের মধে ইবোলা আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা গেছে।

বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, ইবোলা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে কঙ্গোর পার্শ্ববর্তী নয়টি দেশের সঙ্গে কাজ করছে তারা। এ পর্যন্ত কঙ্গোতে ৭,৫৪০টি পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও ৮ হাজার ডোজ পাঠানোর কথা রয়েছে।