চীনের ৭৫০ কোটি ডলারের গভীর সমুদ্রবন্দরকে ‘পাগলামি’ বললেন সু চির পরামর্শক

মিয়ানমারে ৭৫০ কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মিতব্য চীনা গভীর সমুদ্রবন্দরকে ‘পাগলামি’ বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চির অর্থনীতি বিষয়ক পরামর্শক শন টারনেল। শুক্রবার এক সেমিনারে শন টারনেল বলেন, ‘এটা পাগলামি। যা প্রয়োজন তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি চাওয়া হচ্ছে। সরকার বিষয়টা নিয়ে ভাবছে।’

7cd68c4f9f27f18613ac442238f84f52

চীনের সিটিক গ্রুপ তিন বছর আগে এখানে সমুদ্রবন্দর নির্মাণের অনুমতি পায়। এক হাজার কোটি ডলার ব্যয়ে এখানে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির পরিকল্পনা হাতে নেয় তারা। চীনের রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান সিটিক এই প্রকল্পের ৭০ শতাংশের মালিকানার প্রস্তাব দিয়েছে। বাকিটুকু মিয়ানমার সরকার ও স্থানীয় ফার্মের মাঝে ভাগ হবে। চীনা প্রতিষ্ঠানটি ৭৫ বছর ধরে এর ব্যবস্থাপনা করবে।

এই প্রকল্পের অর্থায়ন নিয়ে কথা বলছে চীন ও মিয়ানমার। মিয়ানমারের আশা, এতে করে বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হবে ও চাকরির ক্ষেত্র তৈরি হবে।

অস্ট্রেলিয়ার ম্যাককোয়রি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক টার্নেল মিয়ানমারকে এক চিঠিতে জানান, তিনি এখনও বিশ্বাস করেন যে সমুদ্রবন্দর ভালো প্রস্তাব। তবে এজন্য ৭০০ কোটি ডলার প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি পানামা ক্যানাল প্রকল্পে ৫২৫ কোটি ডলার খরচ হয়েছে। মিয়ানমারের বন্দরে এত অর্থ লাগার বিষয়টি অদ্ভূত।’  

মিয়ানমার নিয়ে ২৫ বছর ধরে গবেষণা করা এই অধ্যাপক বলেন, ‘শ্রীলঙ্কায় হাম্বানটোটা বন্দর নির্মাণে ১০০ কোটি ডলার খরচ হয়। এই পরিমাণ অর্থ চীনের কাছে ঋণ নিয়েছিল কলম্বো। কিন্তু পরিশোধে ভ্যর্থ হওয়ায় ৯৯ বছরের লিজে তাদের দিয়ে দিতে হয়।’ এই উদাহরণটি মিয়ানমারের মাথায় রাখা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

কিয়াকপু বন্দরের জন্য চীনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক থেকে ২০০-৩০০ কোটি ডলার ঋণ নিতে হবে মিয়ানমারকে। শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও একইরকম ঘটনাই