মিয়ানমার থেকে পাচার হওয়া ১ টনেরও বেশি ইয়াবা জব্দ মালয়েশিয়ায়

মিয়ানমার থেকে পাচার হওয়ার সময় ১ দশমিক ২ টন ইয়াবা (ক্রিস্টাল মেথএমফেটামিন) জব্দ করেছে মালয়েশিয়া। আটক করা হয়েছে ছয়জন পাচারকারীকে। সোমবার মালয়েশীয় কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

downloadপ্রতিবেদনে বলা হয়, এটা মালয়েশিয়ার জব্দকৃত সবচেয়ে বেশি পরিমাণ মাদক। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথইস্ট এশিয়া জানায়, চলতি বছর ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডও রেকর্ডসংখ্যক মাদক জব্দ করে।

মালয়েশিয়া কাস্টমসের মহাপরিচালক সুব্রমানিয়াম থোলাসি বলেন, মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন ছেড়ে আসা এক জাহাজ থেকে ১১৮৭ কেজি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এর বাজারমূল্য ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার।

২২ মে মঙ্গলবার এই মাদক উদ্ধার করা হলেও সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন কর্মকর্তারা। সুব্রমানিয়াম বলেন, এই ইয়াবাগুলো ‘খাদ্যসামগ্রী’ বলে আমদানি করছিল কুয়ালালামপুরের একটি প্রতিষ্ঠান।

সোনালি রঙের চায়ের প্যাকেটে এগুলো পাচার করা হচ্ছিলো। এই ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে তিনজন মিয়ানমার ও তিনজন মালয়েশিয়ার নাগরিক।

সুব্রামানিয়াম বলেন, ‘আমরা এখনও তদন্ত করছি। আমাদের ধারণা, এর সঙ্গে মিয়ানমারের বড় কোনও সিন্ডিকেটের সংশ্লিষ্টতা আছে।’ এছাড়া কিছু হিরোইন ও ১০ লাখ কন্ট্রাব্যান্ড সিগারেটও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

মিয়ানমার অনেকদিন ধরেই আফিম ও হেরোইন উৎপাদন করে আসছে। দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি ইয়াবা উৎপাদনকারী দেশও তারা।

রয়টার্স জানায়, এশিয়ায় আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ইয়াবা সেবন ও ব্যবসা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০১৫ সাল থেকে এই প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। জাতিসংঘের অপরাধ ও মাদক অধিদফতর ইয়াবাকে সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।