ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের জন্য করজোড়ে প্রার্থনা করেছিলেন কিম: মার্কিন অ্যাটর্নি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন নতজানু হয়ে অনুমতি প্রার্থনা করেন বলে দাবি করেছেন ট্রাম্পের অ্যাটর্নি রুডি গিলিয়ানি। তার দাবি, গত মাসে ট্রাম্প সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকটি বাতিল করে দেওয়ার পর, সে সিদ্ধান্ত বদলাতে উন মার্কিন প্রশাসনের কাছে করজোড়ে প্রার্থনা করেছিলেন। ১২ জুন ট্রাম্প ও কিমের বৈঠককে সামনে রেখে বুধবার (৬ জুন) এসব কথা বলেন গিলিয়ানি।

ট্রাম্প ও কিম
পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগামী ১২ জুন সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়ার প্রতিক্রিয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে উত্তর কোরিয়া। এ ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়াসহ ট্রাম্প-কিম বৈঠকের ব্যাপারেও অনিশ্চয়তা সৃষ্টির কথা বলা হয়। ২৪ মে উনের সঙ্গে বৈঠক বাতিলের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। একদিন পর ২৫ মে ট্রাম্প ১২ জুন তারিখেই সিঙ্গাপুরে কিমের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে বলে নতুন করে ইঙ্গিত দেন। ২৭ মে সকালে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন বলেন,উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন।

বুধবার ইসরায়েলের তেল আবিবে বিনিয়োগ সংক্রান্ত এক সম্মেলনে ট্রাম্পের অ্যাটর্নি রুডি গিলিয়ানি দাবি করেন, নতুন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত এমনি এমনি হয়নি। তিনি বলেন, ‘তারা (উত্তর কোরিয়া) আমাদের সঙ্গে পারমাণবিক যুদ্ধে লিপ্ত হতে যাচ্ছিলো, পারমাণবিক যুদ্ধে তারা আমাদেরকে পরাজিত করতে চাচ্ছিলো। আমরা বললাম, এ ধরনের পরিস্থিতিতে বৈঠক হবে না। ভালো কথা, কিম জং উন তার হাত পা নতজানু করে করজোড়ে বৈঠকের অনুমতি চাইলেন। আপনারা তাকে যে অবস্থানে তাকে ফেলতে চান, ঠিক সে অবস্থান থেকেই তিনি অনুমতি প্রার্থনা করেছেন।’

১২ জুন ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে বৈঠকটি আয়োজনের জন্য সিঙ্গাপুরে প্রস্তুতি চলছে। বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুইদিনের সফরে উত্তর কোরিয়া যাবেন। এর আগে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স মঙ্গলবার (৫ জুন) জানান,মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও কিম জং উনের মধ্যকার বৈঠকের স্থান হিসেবে সিঙ্গাপুরের সেন্টোসা দ্বীপের ক্যাপেলা হোটেলকে বেছে নেয়া হয়েছে। এজন্য সিঙ্গাপুর সরকারকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। 

বৈঠক অনুষ্ঠানের জন্য সিঙ্গাপুর সরকার দেশের মধ্যাঞ্চলকে আগামী ১০ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ‘বিশেষ এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। ওই এলাকায় সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মার্কিন দূতাবাস এবং বেশ কয়েকটি নামি-দামী হোটেল রয়েছে। আসন্ন বৈঠককে সামনে রেখে সিঙ্গাপুর সরকার দেশের নিরাপত্তা জোরদার করেছে। এতে জনগণের চলাচল থেকে শুরু করে অনেক কিছুর ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে।