কুর্দিদের ওপর হামলা চালাতে ইরানের সাথে তুরস্কের আলোচনা

কুর্দিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর বিষয়ে ইরানের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে তুরস্ক। তুরস্কার দাবি, কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সশস্ত্র যোদ্ধারা ইরান সীমান্তে অবস্থিত উত্তর ইরাকের কান্দিল অঞ্চলে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, ইরান সীমান্তবর্তী হওয়ায় অভিযান শুরুর আগে ইরানের সঙ্গে কথা বলে নিতে চায় তুরস্ক। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু  জানিয়েছেন, ‘পিকেকে তাদের জন্যও হুমকি। কান্দিল ইরান সীমান্তের খুব কাছে। আমরা ইরানের সঙ্গে সহযোগিতামূলক যোগাযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করছি।’08c3471a537a5482cf898fcb29d16424-5a7f184e5ca4e

 

কুর্দিদের সংগঠন পিকেকে তুরস্কে নিষিদ্ধ। পিকেকে প্রায় ৩ দশক ধরে স্বাধীনতার দাবিতে তুরস্কের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম করেছে। আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সিরীয় কুর্দিদের সহযোগিতা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কুর্দিদের অস্ত্র দিয়ে সহায়তাও করেছে তারা। কিন্তু কুর্দিদের সহায়তা দেওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ক্ষুব্ধ তুরস্ক। তারা মনে করে, ওই অঞ্চলের কুর্দিরা কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টিরই সমর্থক, যারা স্বাধীনতা চায়। সিরিয়ায় যুদ্ধ চলাকালেই কুর্দি অধ্যুষিত আফরিনে প্রচণ্ড হামলা চালিয়েছিল তুরস্ক। কারণ, আফরিন ছিল কুর্দিদের ঘাঁটি। গত ২০ জানুয়ারি কুর্দিদের বিরুদ্ধে আফরিনে চালানো তুরস্কের ‘অপারেশন অলিভ ব্রাঞ্চ’ নামের অভিযানে হতাহত হয় অনেক মানুষ।

এদিকে সংবাদমাধ্যম কুর্দিস্তান টোয়েন্টিফোর দাবি করেছে, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী তুরস্কের ওই অভিযানকে ‘নির্বাচনি প্রচারণার’ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। সামনে নির্বাচন থাকাতেই কান্দিল পর্বতমালায় তুরস্ক যুদ্ধ বাধাতে চায়, এমন মত দেশটির প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদির। অন্যদিকে গত সোমবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান ইরাক-ইরান সীমান্তে থাকা কান্দিল ও কুর্দি-ইয়াজিদিদের বসতি থাকা সিনজারে হামলা চালানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।