গাজায় ফিলিস্তিনি নারীদের বিক্ষোভ, ইসরায়েলি হামলায় আহত শতাধিক

অধিকার আদায়ের দাবিতে অব্যাহতভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনি নারীরা। মঙ্গলবার অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সীমান্ত বেড়ার কাছে বিক্ষোভে অংশ নেন কয়েক হাজার নারী। নারীদের এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে ১৩৪ জন আহত হয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

ef350a6e97c74b3a8f32c1578ffdeaf1_18

১৯৭৬ সালের ৩০ মার্চ ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ফিলিস্তিনের ভূমি দখল করে ইহুদি বসতি নির্মাণের প্রতিবাদ করায় ছয় ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়। পরের বছর থেকেই ৩০ মার্চ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত পরবর্তী ছয় সপ্তাহকে ভূমি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে ফিলিস্তিনিরা। আল জাজিরার খবর অনুযায়ী, ৩০ মার্চ শুরু হওয়া ভূমি দিবসের কর্মসূচি শুরু হওয়ার দিন থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে ১৩৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৬ হাজারের বেশি। এবারের আন্দোলনে নারীদের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে অনেক সময়। তাদের অংশগ্রহণের ব্যাপকতা এবারের ভূমি দিবসের কর্মসূচিকে করে তুলেছে স্বতন্ত্র। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বিক্ষোভে অংশ নেন কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি নারী। 

fa666df06a1f8d7091d43f4be6d9d33207114f91

আন্দোলনকারীরা গাজার ওপর ইসরায়েল ও মিসরের আরোপ করা অবরোধের বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ করেন। ২০০৬ সালের নির্বাচনে হামাস জয়লাভ করার পর থেকে উপত্যকাটির ওপর অবরোধ আরোপ করে রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন অবরুদ্ধ থাকা উপত্যকাটি এখন বিশ্বের বৃহত্তম উন্মুক্ত কারাগারে পরিণত হয়েছে। মঙ্গলবার ফিলিস্তিনি নারীরা গাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাসে করে এসে বিক্ষোভে যোগ দেন। তাদের অনেকেই সঙ্গে শিশু সন্তানকে নিয়ে এসেছিলেন। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলি বেড়ার ৫০ মিটারের মধ্যে প্রবেশ করে বিক্ষোভ দেখায়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কুদরা মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, গাজার পূর্বাঞ্চলে এই বিক্ষোভের সময় আহতদের মধ্যে কয়েকজন সাংবাদিকও রয়েছেন। আর এদিন কমপক্ষে ১৩৪ জন নারী ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি ও কাদানে গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে আহত হয়েছেন।

ফাইল ছবি- ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি নারীর প্রতিরোধ

গত ১৪ মে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ৬০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়। ওই নিহত হওয়া ১৫ বছরের মেয়ে বাসালের মা রিম আবু ইরমানাও মঙ্গলবারের বিক্ষোভে অংশ নেন। মেয়ের ছবি দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের শুরু করা আন্দোলন শেষ করার জন্য আমি এসেছি’।  ইরনামা আরও বলেন, ‘এই বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ।  আমরা শুধু আমাদের ভূমি ও আমাদের অধিকারের দাবি জানাচ্ছি’।