সিরিয়ায় চলতি বছর নিহত ২ হাজারেরও বেশি বেসামরিক

যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় বিভিন্ন হামলা ও বিস্ফোরণে চলতি বছর প্রথম ছয় মাসের ২ হাজার ২৫৭ জন নিহত হয়েছেন, যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে।

 

সংস্থাটি জানায়, সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ, রাশিয়া, পিকেকে ও আন্তর্জাতিক জোট মোট ১৮৬ টি হামলায় চালিয়েছে। এর মধ্যে ১২২টি হামলা সরকারি বাহিনী, ২৪টি রাশিয়া, তিনটি পিকেকে, ১৫টি আন্তর্জাতিক জোট ও ২২ টি অন্যান্য বাহিনী চালায় বলে দাবি সংস্থাটির। এসব হামলাতেই ২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

সাতবছর আগে শুরু হওয়া সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ আজও সমাপ্ত হয়নি। সিরিয়ার আসাদের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া অভ্যুত্থান থেকে যে সংঘর্ষের শুরু, তা এখন বহুধা বিভক্ত। পরস্পরের স্বার্থবিরোধী বহু পক্ষের উপস্থিতির কারণে সহজে এ সংঘর্ষের কোন শান্তিপূর্ণ ইতি টানার সম্ভাবনা সুদূর পরাহত। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, তুরস্ক, ইরান ও ইসরায়েলের মতো বিদেশি শক্তিগুলো যুদ্ধরত ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। তাদের দেওয়া অস্ত্রের সরবরাহের কারণে যুদ্ধ আরও তীব্র হয়ে উঠেছে।

সিরিয়ার অবজারভেটরির মতে, সরকারি বাহিনী গত ছয়মাসে ১৫০২ জন বেসামরিককে হত্যা করেছে আর রাশিয়া করেছে ২৯১ জনকে। পিকেকের হামলায় নিহত হয়েছে  ২৮ জন ও আন্তর্জাতিক জোটের হামলায় নিহত হয়েছেন ১৯৯ জন। অন্যান্য বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ২৩৭ জন। মানবাধিকার সংস্থাটি জানায়, সিরীয় এই হত্যাযজজ্ঞের বিষয়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তোলা উচিত।

জাতিসংঘের মতে ২০১১ সালে শুরু হওয়া যুদ্ধে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বাস্তুহারা হয়েছেন লাখ লাখ বেসামরিক।