ব্রেক্সিটমন্ত্রীর পর এবার যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া ব্রেক্সিট নিয়ে বিতর্কের জের ধরে পদত্যাগ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। এই নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেন তিন মন্ত্রী। বরিসের আগে পদত্যাগ করেন ব্রেক্সিটমন্ত্রী দেহিদ ডেভিস ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিষয়ক দফতরে তার দ্বিতীয় ব্যক্তি স্টিভ বাকের। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান লিখেছে, অপেক্ষাকৃত নমনীয় ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে হুমকির মুখে পড়া থেরেসা মে’র সম্ভবত আস্থা ভোটের মুখে পড়তে যাচ্ছেন।ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বাইরে বরিস জনসন ও দেহিদ ডেভিস
ব্রেক্সিট নিয়ে নিজের বহু বিভক্ত মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে শুক্রবার দিনভর বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। ওই বৈঠকের পর নিজের বন্ধু ও মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা শেষে থেরেসা মে’র পরিকল্পনায় সায় না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বরিস জনসন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডাউনিং স্ট্রিটের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আজ বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বরিস জনসনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। দ্রুত তার স্থলে আরেকজনের নাম ঘোষণা করা হবে। কাজের জন্য বরিসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’

২০১৬ সালের গণভোট অনুযায়ী যুক্তরাজ্য এখন ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। ব্রেক্সিট গণভোটের প্রচারণার গুরুত্বপূর্ণ মুখ জনসনের পদত্যাগের পর থেরেসা মে’র চারিদিকে সংকট ঘণীভূত হচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনকি তাকে আস্থা ভোটের মুখেও পড়তে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

সোমবার বিকেলে ওয়েস্টমিনস্টারে নিজের এমপিদের সামনে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে থেরেসা মে’র। সাংসদদের মধ্যেও ব্রেক্সিট নিয়ে ক্ষোভ তীব্র হচ্ছে। যদি ৪৮ জন সাংসদ হাউস অব লর্ডসের ব্যাকবেঞ্চ ১৯২২ কমিটির কাছে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব করে চিঠি দেন তাহলে থেরেসা মে’কে আস্থা ভোটের মুখে পড়তে হবে।