‘নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ইরানকে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না’

ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামি বলেছেন, বিশাল মানবসম্পদের পাশাপাশি অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদের বিপুল ভাণ্ডারের দেশ ইরান। নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এই দেশের অগ্রগতি দেওয়া যাবে না। মঙ্গলবার তেহরানে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

nonameব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামি বলেন, কাগুজে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি আমেরিকা ইরানের ইসলামি শাসনব্যবস্থাকে সংকটাপন্ন হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। মার্কিন সরকার মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ চালিয়ে ইরানের জনগণের সঙ্গে সরকারের দূরত্ব সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। এটি কখনও সফল হবে না।

ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘তেহরান এ পর্যন্ত বহুবার প্রমাণ করেছে, যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞার মতো কঠিন বাধা পার হতে আমরা সিদ্ধহস্ত। ইরানি জনগণ অসম যুদ্ধের ময়দানে তুলনামূলক কম উপকরণ নিয়ে শুধুমাত্র ঈমানি শক্তির বলে শত্রুর বিরুদ্ধে বিজয়ী হয়েছে। তবে আমরা বর্তমানে অতীতের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী ও সংহত। আমাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করার তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মে মাসে পাশ্চাত্যের সঙ্গে তেহরানের স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যান। তিনি ঘোষণা করেন, আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনর্বহাল করা হবে।

সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইরানের তেল রফতানি আয় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য বিভিন্ন দেশের ওপর হুমকি ও চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছেন তারা। তবে ওই চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী বাকি পাঁচ দেশ বলছে, ২০১৫ সালের চুক্তি বহাল এবং ইরানের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক তৈরিতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সম্প্রতি আবারও ভিয়েনায় ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তির ১১টি পয়েন্টের ওপর নিজের সম্মতি দেন। সূত্র: পার্স টুডে, রয়টার্স।