ওবামা কেয়ার কর্মসূচির সহায়তা বরাদ্দ কমালো ট্রাম্প প্রশাসন

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট-এসিএ বা ওবামা কেয়ারের আওতায় মানুষকে স্বাস্থ্য বীমা পেতে সহযোগিতাকারী সংগঠনগুলোর জন্য অর্থ বরাদ্দ কমিয়েছে সরকার। সংগঠনগুলোকে আইনি সুবিধা ও সুরক্ষা ব্যতিত পরিকল্পনা সমর্থন করার জন্য চাপ দেওয়ার জন্যই এটা করা হচ্ছে।

download (1)

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর মেডিকেয়ার অ্যান্ড মেডিকেয়িড সার্ভিস-সিএমএস’র পক্ষ থেকে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সবশেষ কাঁটছাটের মাধ্যমে এসিএ বা ওবামা কেয়ারের সঙ্গে আমেরিকানদের ‍যু্ক্তকারী সংগঠনগুলোর জন্য অর্থ বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী নভেম্বরে শুরু হওয়া অর্থবছরে সংগঠনগুলো এক কোটি মার্কিন ডলার পাবে। গত বছর এই সহায়তার পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার। গত বছর গরীবদের জন্য স্বাস্থ্য বীমার বিজ্ঞাপনের খরচ বাদ দেওয়া হয়। ওই খরচসহ আগের বছর বরাদ্দ ছিল ৬ কোটি ২৫ লাখ ডলার। ওবামা কেয়ারকে দুর্বল করার জন্য বহুমুখী প্রকল্পটিকে সংকুচিত করার চেষ্টা হিসেবেই এই বরাদ্দ কমাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।

সিএমএসর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপ মানুষকে তথ্য দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে ভাবতে সংগঠনগুলোকে উদ্বুদ্ধ করবে। এসব মানুষ অ্যাসোসিয়েশন স্বাস্থ্য পরিকল্পনা, স্বল্পমেয়াদি ও সীমিত সময়ের বিমাসহ ওবামা কেয়ারের আওতা সম্পর্কে সম্ভবত সচেতন নয়।   

শনিবার ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওবামা কেয়ারের আওতায় এক হাজার ৪০ কোটি ডলারের একটি কর্মসূচি বাতিল করা হবে। অতি-ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে এই অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। কর্মসূচি বাতিলের কারণ হিসেবে বলা হয়, সম্প্রতি ফেডারেল আদালতের একটি আদেশের কারণে ওই অর্থ ছাড় করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে স্বাস্থ্য বীমাকারীরা সতর্ক দিয়ে বলেছে, এই পদক্ষেপের কারণ বীমার খরচ বাড়ার পাশাপামি বাজারে অস্থিতিশীলতা তৈরি হতে পারে।

গত বছর রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার পরও কংগ্রেসে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়কার স্বাস্থ্য নীতি বাতিল করে নতুন স্বাস্থ্য নীতি অনুমোদন করতে পারেনি ট্রাম্প প্রশাসন। এরপর থেকে তারা বিভিন্নভাবে এসিএ’কে ব্যহত করার জন্য ক্ষমতাকে ব্যবহার করছেন ট্রাম্প প্রশাসন। এসিএ’র মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি মার্কিনিকে স্বাস্থ্য বীমার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।

ট্রাম্প নির্বাচনি প্রচারণার সময়েই ঘোষণা দিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট হয়ে ক্ষমতায় আসলে তিনি ‘ওবামা কেয়ার’ বাতিল করবেন। ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ওবামা কেয়ার বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেন।