ইসরায়েলি সীমান্তের কাছে গুরুত্বপূর্ণ পাহাড় দখলের দাবি সিরিয়ার

ইসরায়েল দখলকৃত গোলান হাইটসের একটি গুরুত্বপূর্ণ পাহাড় দখলে নিয়েছে বলে দাবি করেছে সিরীয় সেনাবাহিনী। সোমবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

সিরিয়া

সম্প্রচারমাধ্যমটি জানায়, আল-হারা পাহাড়ে দ্বিতীয় দিনের মতো লড়াই চলে। বিদ্রোহীদের হাত থেকে সোমবার এটি উদ্ধার করে সরকারি বাহিনী। ইসরায়েল সীমান্ত থেকে এটি কাছাকাছি হওয়ায় কৌশলগত কারণে এটি গুরুত্বপূর্ণ।

প্রায় আট বছর ধরে চলমান সিরীয় যুদ্ধে ইসরায়েলের অবস্থান রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও স্থানীয়দের কাছে ছিল ধোঁয়াশাপূর্ণ। অনেকেই মনে করেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকেই ক্ষমতায় দেখতে চায় দেশটি। আসাদের শাসনামলে ইসরায়েলের দখলকৃত সিরীয় গোলান অঞ্চল ছিল শান্ত। কিন্তু আসাদবিরোধীরা ক্ষমতায় গেলে অঞ্চলটি অশান্ত হয়ে ওঠতে পারে। যা ইসরায়েলের জন্য অজ্ঞাত হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে। তবে কেউ কেউ যুক্তি তুলি ধরে বলছেন, ইরানের সঙ্গে আসাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, তেহরানকে যুদ্ধে হস্তক্ষেপের অনুমতি এবং ইসরায়েল সীমান্তে ইরানের উপস্থিতি বৃদ্ধি তেল আবিবের জন্য আরও বড় হুমকি। 

সোমবার পুনরুদ্ধার করা পাহাড়ের ওপর আগে সিরীয় সেনাবাহিনীর একটি অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট রাডার ঘাটি ছিলো। ২০১৪ সালের অক্টোবরে এটি বিদ্রোহী বাহিনীর দখলে চলে যায়। গত দুই দিনে রুশ ও সিরীয় বাহিনী অনেকগুলো অভিযান চালায়। সর্বশেষ সোমবার ঘাঁটিটি পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয় তারা।

ইসরায়েল সীমান্তের অনেক কাছেই এই অভিযান চললেও তাদের আগ্রাসী মনে করে না বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। যদিও তারা সিরিয়ার আলেপ্পো শহরের কাছে সিরীয় সামরিক অবস্থানে রকেট হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদপন্থী ৯ সেনা নিহত হয়েছে। সিরিয়ায় ইরানের সামরিক উপস্থিতিকে নিজ দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করে ইসরায়েল। গত সাত বছরে একাধিকবার ইরানের ও তেহরান সমর্থিত সামরিক অবস্থানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সিরীয় প্রেসিডেন্ট আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইরান গৃহযুদ্ধে সরকারের সমর্থনে কয়েক হাজার মিলিশিয়া পাঠিয়েছে। এদের মধ্যে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হেজবুল্লাহ রয়েছে, যারা আসাদের সমর্থনে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।