ম্যান্ডেলাকে স্মরণ করছে ফেসবুক

দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রয়াত এ কিংবদন্তিকে বিশেষভাবে স্মরণ করছে ফেসবুকও। বুধবার (১৮ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঢুকলে কোটি কোটি ব্যবহারকারী এ রিমেমবারিং পোস্টটি দেখতে পাচ্ছে। ওই পোস্টে ম্যান্ডেলাকে মানবাধিকার ও স্বাধীনতার রক্ষক বলে উল্লেখ করেছে ফেসবুক।  

ফেসবুকে ম্যান্ডেলাকে স্মরণ
১৯১৮ সালের ১৮ জুলাই জন্ম নেওয়া ম্যান্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকার আপামর মানুষের কাছে ‘মাদিবা’ নামে পরিচিত। ৯৫ বছরের জীবনকালের দীর্ঘ ২৭ বছর কেটেছে কুখ্যাত রবেন দ্বীপের কারাগারে। অথচ কারাগার থেকে বেরিয়ে সেই ম্যান্ডেলা শ্বেতাঙ্গদের ক্ষমা করে দেন। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে তিনি আধুনিক রাষ্ট্র গড়ে তোলার দিকে নজর দেন। ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর ম্যান্ডেলা জীবনের সীমানা পেরিয়ে চলে যান অনন্তলোকে। বিশ্বজুড়ে তার কোটি কোটি ভক্তের জন্য রেখে যান বৈষম্যহীন বৈচিত্র্যময় সুন্দরের স্বপ্ন।

বুধবার (১৮ জুলাই) পালিত হচ্ছে এ কিংবদন্তি নেতার ১০০তম জন্মবার্ষিকী। দিনটি উপলক্ষে ম্যান্ডেলাকে নিয়ে রিমেমবারিং পোস্ট দিয়েছে ফেসবুক। এর নাম দেওয়া হয়, ‘ম্যান্ডেলাকে স্মরণ’।

পোস্টে লেখা হয়, ‘১০০তম জন্মদিনে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এ প্রেসিডেন্টকে স্মরণ করছি আমরা। মানবাধিকার, মর্যাদা ও স্বাধীনতার এ রক্ষককে স্মরণ করছি আমরা। ভাবছি, যদি প্রত্যেকে তার দৃষ্টান্তমূলক কাজগুলোকে অনুসরণ করতো এবং অন্যদের জীবনে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করতো, তাহলে কেমন হতো।’

উল্লেখ্য, কারাগার থেকে ম্যান্ডেলা মুক্তি পান ১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি। বর্ণবাদ অবসানের লক্ষ্যে সরকারের সঙ্গে ম্যান্ডেলার ফলপ্রসূ শান্তি আলোচনার সুবাদে ১৯৯৪ সালে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সব বর্ণের মানুষের অংশগ্রহণে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় গণতান্ত্রিকভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ম্যান্ডেলা। একইসঙ্গে দেশের প্রথম কৃঞ্চাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হওয়ারও সম্মান লাভ করেন তিনি। বিপুল জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও দেশের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখেননি ম্যান্ডেলা। প্রথম কার্যকাল শেষেই ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে অবসর নেন। ১৯৯৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় অবদান রাখার জন্য ম্যান্ডেলা এবং রাষ্ট্রপতি এফ ডব্লিউ ডি ক্লার্ককে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়।