অ্যাসাঞ্জ লড়ছেন একটা মুক্ত পৃথিবীর জন্য: পামেলা অ্যান্ডারসন

আলোড়ন সৃষ্টিকারী বিকল্পধারার সংবাদমাধ্যম উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে ‘মুক্ত পৃথিবীর’ পক্ষে একজন লড়াকু হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন সাবেক বেওয়াচ তারকা পামেলা অ্যান্ডারসন। কিছুদিন আগে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে দেখা করতে যান অ্যান্ডারসন। সে সময় সংবাদমাধ্যমে তাদের দুজনের প্রেমের গুঞ্জন উঠে। কিন্তু অ্যান্ডারসন জানিয়েছেন, অ্যাক্টিভিজম বা লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা শেখার জন্যই অ্যাসাঞ্জের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। মার্কিন অনলাইন সাময়িকী ব্রিংকওয়ারের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে পামেলার এমন মন্তব্য। তিনি বলেন, তরুণরা অ্যাসাঞ্জকে খুবই পছন্দ করে।

20161016001286319824-original-960x540সুইডেনে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠার পর ২০১২ সালের জুন থেকে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসের আশ্রয়ে আছেন অ্যাসাঞ্জ। তবে ধর্ষণের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন তিনি।তার আশঙ্কা, সুইডেনে গেলে সুইডিশ সরকার তাকে গ্রেফতার করে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে প্রত্যর্পণ করবে। আর যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বিচারের নামে মৃত্যুদণ্ড দেবে।

কিছুদিন আগে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলো খবর করেছিল, মার্কিন অভিনেত্রী পামেলা অ্যান্ডারসন এবং জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের জীবনে বসন্ত চলছে। তাদের মধ্যে প্রেমের গুজবও উঠেছিল। ডেইলি মেইলে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, টিভি তারকা গত চারমাসে একাধিকবার দেখা করেছেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে তার লন্ডনের ইকুয়েডোরিয়ান দূতাবাসে।

তবে সম্প্রতি দ্য ডেইলি বিস্টকে দেওয়া সাক্ষাতকারে বর্তমানে অধিকারকর্মী পামেলা বলেন, একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে নিজেকে শক্তিশালী করতে আরও অনেক কিছু শিখতেই তিনি অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, তরুণরা অ্যাসাঞ্জকে পছন্দ করেন। তথ্য এখন অনেক দ্রুত ছড়ায়। তাই আমাদের অ্যাসাঞ্জের মতো কাউকে প্রয়োজন এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য। আমি জানি না তাকে কেন শত্রু মনে করা হয়।’

২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে তাদের প্রথম দেখা হয়। অ্যাসাঞ্জ এবং পামেলা দুজনেই রাশিয়ার প্রতি সমর্থন জনসম্মুখে প্রকাশ করেছেন। পামেলা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের এমন করে বড় করে তোলা হয় যে, কোনও কিছুর গরমিল হলেই আমরা রাশিয়াকে দুষতে থাকি।