প্রাপ্তবয়স্কদের ম্যাগাজিন হিসেবে পরিচিত ‘প্লেবয়’-এর একজন মডেলকে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আর তার সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেনের মধ্যকার কথোপকথনের অডিও হাতে পেয়েছে মার্কিন তদন্ত সংস্থা এফবিআই। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ওই মডেলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েন ট্রাম্প। অভিযোগ রয়েছে, নির্বাচনের দুই মাস আগে ওই মডেলের মুখ বন্ধ করতে তাকে বিপুল অঙ্কের অর্থ পরিশোধ করেন তিনি, যা আইন পরিপন্থী। এফবিআই-এর দাবি, ২০১৮ সালের গোড়ার দিকে কোহেনের কার্যালয়ে তল্লাশির সময় ট্রাম্প-কোহেনের এ সংক্রান্ত গোপন টেপ তাদের হাতে আসে। ট্রাম্পের বর্তমান আইনজীবী এমন অডিও’র অস্তিত্ব থাকার কথা স্বীকার করলেও ট্রাম্পকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
সাবেক প্লেবয় মডেল কারেন ম্যাকডোগালের দাবি, ২০০৬ সালে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর থেকে ৯ মাস পর্যন্ত তাদের সম্পর্ক ছিল। মেলানিয়া ট্রাম্প তাদের ছোট সন্তান ব্যরনকে জন্ম দেওয়ার তিন মাসের মধ্যেই ম্যাকডোগালের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান ট্রাম্প। এ বিষয়ে প্রথম খবর প্রকাশ করে প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। এতে বলা হয়, চলতি বছরের গোড়ার দিকে কোহেনের কার্যালয়ে তল্লাশির সময় এ সংক্রান্ত গোপন টেপ এফবিআইয়ের হাতে আসে। এই টেপ রেকর্ডিং-এর বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞাত আইনজীবীসহ অন্যদেরও সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে বলা হয়, প্লেবয় মডেলের সঙ্গে সম্পর্কের ঘটনার স্বত্ব কিনতে ওই মডেলকে দেড় লাখ ডলার পরিশোধ করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে দ্য ন্যাশনাল ইনকোয়ারার নামের একটি সংবাদমাধ্যমকে ব্যবহার করা হয় যেটির চেয়ারম্যান ট্রাম্পের বন্ধু। কারেন ম্যাকডোগাল ১৯৯৮ সালে প্লেবয় ম্যাগাজিনের প্লেমেট অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হয়েছিলেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, পর্নো তারকা স্টিফেন ক্লিফোর্ড এবং ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরনের অভিযোগ আনা অন্য এক নারীর বক্তব্যের সঙ্গে ম্যাকডোগালের বর্ননার মিল রয়েছে। এসব নারীদের ডিনারের আমন্ত্রণ এবং রিয়েল এস্টেট কিনে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন আবাসন ব্যবসা থেকে রাজনীতিতে আসা ট্রাম্প।
কোপেনের টেপের অস্তিত্ব থাকার কথা স্বীকার করেছেন ট্রাম্পের বর্তমান আইনজীবী রুডি গিউলিয়ানি। তবে তার দাবি, প্রেসিডেন্ট কোনও ভুল করেননি।