কারারুদ্ধ লুলার প্রেসিডেন্ট প্রার্থীতা আটকে দিলো ব্রাজিলের আদালত

ব্রাজিলের শীর্ষ নির্বাচনি আদালত তাদের রায়ে জানিয়ে দিয়েছে দুর্নীতির দায়ে  কারারুদ্ধ থাকায় সাবেক প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভা এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারছেন না। আদালতের সাত বিচারকের মধ্যে ছয়জনই এই রায়ে একমত পোষণ করেছেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের পাশাপাশি লুলার প্রার্থীতা পেতে সম্ভব সবকিছু করার ঘোষণা দিয়েছে তার বামপন্থী দল ব্রাজিলের ওয়ার্কাস পার্টি।ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভা

১২ বছরের দণ্ড নিয়ে কারাগারে থাকা ৭২ বছর বয়সী লুলা অক্টোবরের আসন্ন নির্বাচনের মতামত জরিপে এগিয়ে ছিলেন। এর আগে তাকে প্রার্থী ঘোষণা করে তার দল ওয়ার্কার্স পার্টি।

লুলার আইনি সহায়তা দল জানিয়েছে আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবেন তারা। ব্রাজিলের ওয়ার্কাস পার্টি পরে এক বিবৃতি বলেছে, লুলার প্রার্থীতার জন্য সম্ভব সবকিছু করা হবে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মানুষকে সঙ্গে নিয়ে লুলার অধিকার রক্ষায় আমরা রাজপথেও থাকবো।’

গত জানুয়ারিতে অর্থ পাচার ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে দণ্ড ঘোষণার পর আত্মসমর্পণ  করেন লুলা। ব্রাজিলের আইন অনুযায়ী অপরাধে দণ্ডিত কোনও ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না। তবে অতীতে এই আইনের ব্যত্যয়ও ঘটতে দেখা ঘেচে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

গত মাসে কারারুদ্ধ লুলাকে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়ন দেয় তার দল। তবে নিজে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিতে না পারলে রাজধানী সাও পাওলোর সাবেক মেয়র ও ঘনিষ্ট সহযোগিন ফার্নান্দো হাদাদকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকতে বলেছেন লুলা।

২০০৩ ও ২০১১ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে দুই মেয়াদে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন লুলা ডি সিলভা। ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক কর্মসূচির মাধ্যমে কার্যালয় ছাড়ার সময়ে ৮৭ শতাংশ মানুষের সমর্থন ছিল তার প্রতি। সর্বশেষ নির্বাচনে পরাজিত হলে ৭২ বছর বয়সী এই নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে কারাদণ্ড দেয় ব্রাজিলের আদালত। গত এপ্রিলে আত্মসমর্পণ করার পর থেকেই কারাগারে আটক আছেন তিনি।