বতসোয়ানায় ৯০টি হাতির মৃতদেহ উদ্ধার

বতসোয়ানা থেকে দন্তবিহীন অবস্থায় ৯০টি হাতির মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। এলিফ্যান্টস উইদাউট বর্ডার্স ও বতসোয়ানার ডিপার্টমেন্ট অব ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড ন্যাশনাল পার্ক এর গবেষকরা বিমানে করে জরিপ চালানোর সময় মৃতদেহগুলো শনাক্ত করেন। এটিকে আফ্রিকায় গণহারে হাতি শিকারের সবচেয়ে বাজে ঘটনাগুলোর একটি বলে মনে করা হচ্ছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি’র এক প্রতিবেদন থেকে এসব কথা জানা গেছে।

বতসোয়ানায় নদীর পাড়ে বসে আছে একটি হাতি
আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক হাতির বসবাস বতসোয়ানায়। দেশটিতে ১ লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি হাতি রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত দশকে আফ্রিকান হাতির সংখ্যা ১ লাখ ১১ হাজার থেকে ৪ লাখ ১৫ হাজার পর্যন্ত কমেছে। এশিয়ায় হাতির দাঁতের বাজারের চাহিদা মেটাতে প্রতি বছর ৩০ হাজার হাতি শিকার করা হচ্ছে। এশিয়ার বাজারে প্রতি কেজি হাতির দাঁতের মূল্য এক হাজার ডলারের কাছাকাছি।

মঙ্গলবার এএফপিকে বন্যপ্রাণি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থা এলিফ্যান্টস উইদাউট বর্ডার্স জানায়, বতসোয়ানায় জরিপ চালানোর সময় তারা ৯০টি হাতির মৃতদেহ শনাক্ত করেছে। সংস্থার পরিচালক মাইক চেজ বলেন, ‘আমরা জরিপ শুরু করেছিলাম ১০ জুলাই। জরিপ শুরুর পর থেকে আমরা ৯০টি হাতির মৃতদেহ পেয়েছি। প্রতিদিনই আমরা মৃত হাতি দেখতে পাচ্ছি।’

জানা গেছে, ওকাভানগো ডেল্টায় একটি অভয়ারণ্যের কাছে রাইফেল দিয়ে গুলি করে হাতিগুলো শিকার করা হয়েছে। চেজ বলেন, ‘আজ পর্যন্ত আফ্রিকায় যত হাতি শিকারের ঘটনা আমি দেখেছি কিংবা পড়েছি তার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় ঘটনা।’

বতসোয়ানার পর্যটন মন্ত্রী তোশেকেদি খামা এএফপি’র কাছে হাতি শিকারের খবর নিশ্চিত করেছেন। তবে এ ব্যাপারে তার কাছ থেকে বিস্তারিত জানা যায়নি।

শিকারীরা গণ্ডারও শিকার করছে বলে দাবি করেছেন চেজ। তিনি জানান, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ছয়টি গণ্ডারের মৃতদেহ পাওয়া গেছে।