ইদলিবে বেসামরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতের আহ্বান জাতিসংঘের

যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের সর্বশেষ ঘাঁটি ইদলিবে অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে রাশিয়া, ইরান ও তুরস্কের প্রতি ‘বেসামরিকদের সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিতের’ আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্থোনিও গুতেরেস। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্থোনিও গুতেরেসসাংবাদিকদের গুতেরেস বলেন, ‘বেসামরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতে যেন কোনও ছাড় দেওয়া না হয়। এটা খুবই জরুরি। ইদলিবের সংঘাতে মানবজাতি ভয়ংকর অভিজ্ঞতার সম্মুখীণ হবেন। সংঘাতপূর্ণ সিরিয়ায় হয়তো এমন রক্তবন্যা আগে কেউ দেখেনি।’

সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ইদলিবে সরকারি বাহিনীর হামলার মুখে ইতোমধ্যে ৩০ হাজারের বেশি বাসিন্দা উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক। সোমবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন,সরকারি বাহিনীর হামলার মুখে উদ্বাস্ত হওয়া বেশিরভাগ মানুষই ১ থেকে ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।দুজারিক বলেন, ‘আমরা ইদলিবের ৩০ লাখ বাসিন্দাকের নিয়ে উদ্বিগ্ন আছি। সেখানের তীব্র লড়াইয়ে হতাহতের পাশাপাশি অনেকেই বিতাড়িত হচ্ছেন। একই সঙ্গে সেখানে বেসামরিক স্থাপনার ব্যপক ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে।’

সিরীয় সরকার সম্প্রতি ঘোষণা দেয় যে, তারা বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে ব্যাপক আকারে সামরিক অভিযান শুরু করবে। এরই ধারাবাহিকতায় ইদলিবে হামলা চালানো হয়। তবে ওই ঘোষণার পরই এ ধরনের হামলা সিরিয়ায় ২১ শতকের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছিল।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘আমি বুঝি যে, ইদলিবের বর্তমান পরিস্থিতি স্থিতিশীল না। সন্ত্রাসীদের উপস্থিতিও মেনে নেওয়া যায় না। তবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করা ঠিক নয়।’

সিরিয়ায় জাতিসংঘের বিশেষ দূত স্টিফেন দে মিস্তুরার সঙ্গে দেখা করেছেন রাশিয়া, ইরান ও তুরস্কের সিনিয়র কর্মকর্তারা। শুক্রবার এই তিন দেশের প্রেসিডেন্ট বৈঠকে বসলেও ইদলিবে অস্ত্রবিরতির ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।