ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া প্রত্যক্ষ করলেন পুতিন

রাশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া প্রত্যক্ষ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার সামরিক মহড়া দেখার সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, নতুন প্রজন্মের যুদ্ধাস্ত্র ও উপকরণ দিয়ে সেনাবাহিনী সাজাবেন তিনি।

noname

সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এবারই সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া করছে রাশিয়া। পূর্ব সাইবেরিয়ায় সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠেয় এ মহড়ার নামকরণ করা হয়েছে ভস্তক-২০১৮। এতে অংশ নিচ্ছেন মঙ্গোলীয় ও চীনা সেনারা। এই মহড়ায় অংশ নিয়েছেন প্রায় ৩ লাখ সেনা সদস্য। এর আগে ১৯৮১ সালে স্নায়ুযুদ্ধের সময় এত বড় সামরিক মহড়া হয়েছিল। তবে এবারের মহড়ায় বেশি সেনা অংশ নিচ্ছে।

ক্রেমলিনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খবরে রুশ প্রেসিডেন্টকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘এই প্রথমবারের মতো আমাদের সেনাবাহিনী ও যুদ্ধজাহাজগুলো এ ধরনের কঠিন ও বড়মাত্রার পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।’

এক হাজারেরও বেশি সামরিক বিমান, ৩৬ হাজার ট্যাঙ্কের এই মহড়া নিয়ে স্নায়ুযুদ্ধের পর পশ্চিমা দেশগুলো সবচেয়ে বেশি উত্তেজনার মধ্যে রয়েছে।

মহড়ায় যোগ দেওয়া সেনা সদস্যদের উদ্দেশে পুতিন বলেন, রাশিয়া শান্তিতে বিশ্বাসী দেশ, যার লক্ষ্য যেকোনও রাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা তৈরি করা। আর একজন সেনা সদস্যের দায়িত্ব হলো তার দেশ এবং মিত্রদের রক্ষা করা। তিনি বলেন, ‘এ কারণে আমরা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে চাই। তাই তাদের সর্বাধুনিক প্রজন্মের যুদ্ধাস্ত্র ও সরঞ্জাম সরবরাহ এবং আন্তর্জাতিক সামরিক সহায়তা উন্নত করতে যাচ্ছি’।