ফিলিস্তিনি গ্রাম ধ্বংস ঠেকাতে ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন সিনেটরের আহ্বান

ফিলিস্তিনি বেদুইনদের গ্রাম ধ্বংস না করতে ইসরায়েলের প্রতি সরাসরি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন সিনেটর ডায়াননি ফেইনস্টেইন। বৃহস্পতিবার তিনি ফিলিস্তিনি গ্রাম খান আল আহমার ধ্বংসের পরিকল্পনা বাতিল করতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানান। টুইটার বার্তায় তিনি লেখেন, এই সম্প্রদায়ের বসত বাড়ি ধ্বংসের একমাত্র কারণ কাছের ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণ ও পশ্চিম তীরকে দুই বাগে ভাগ করা। তিনি লিখেছেন, সম্ভাব্য শান্তি নির্ভর করছে খান আল আহমারের সঙ্গে কি ঘটছে তার ওপর।noname

গত বৃহস্পতিবার সূর্যোদয়ের আগে ফিলিস্তিনি বেদুইনদের গ্রাম খান আল আহমারে  অভিযান চালায় ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। অভিযানে গ্রামটির পাঁচটি তাঁবু গুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বিক্ষোভকারীদের একটি ক্যাম্প খালি করে দেওয়া হয়। খান আল আহমার গ্রামটি জেরুজালেমের বড় দুই অবৈধ বসতি মালে আদুমিম ও কাফফার আদুমিম এর কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত। ওই দুটি বসতিই সম্প্রসারণ করতে চাইছে ইসরায়েল সরকার। অনুমতি ছাড়া নির্মাণ হয়েছে দাবি করে গত ৬ সেপ্টেম্বর এক সপ্তাহের মধ্যে গ্রামটি খালি করে ফেলার নির্দেশ দেয় ইসরায়েলের আদালত।

অ্যাগেইনিস্ট দ্য ওয়াল অ্যান্ড সেটেলমেন্ট কমিশনের প্রধান ওয়ালিদ হাসাফ বলেন, আমরা আশা করেছিলাম...পাঁচটি বাড়ি গুড়িয়ে দিতে সফল হয়ে তারা ক্ষান্ত হবে। আমরা লড়াই করার জন্য সেখানে যাইনি, খালি বাড়িগুলো রক্ষা করতে গিয়েছিলাম। আমরা খান আল আহমারের বাড়িগুলো রক্ষা করতে চাই।

খান আল আহমার গ্রামটিতে মূলত বেদুইন জাহালির উপজাতির বাস। ১৯৫০’র দশকে এই বাসিন্দাদের তাদের নিজ ভূমি নাকাব মরুভূমি থেকে বিতাড়িত করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। খান আল আহমারে বসতি গড়ার আগে তাদের অন্তত দুইবার নিজেদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। চারপাশে ইসরায়েলি অবৈধ দখলের মধ্যে ১৯৯৩ সালের অসলো চুক্তিতে ‘এরিয়া সি’ নামে পরিচিত গ্রামটিতে ৪০টি ফিলিস্তিনি পরিবার তাঁবু ও খুপড়ি ঘরে বসবাস করে। ‘এরিয়া সি’ তে পশ্চিম তীরের ৬০ শতাংশ এলাকা চিহ্নিত করা আছে। এসব এলাকা পুরোপুরিভাবে ইসরায়েলি প্রশাসন ও নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণে।

গ্রামটি ধ্বংস করার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে পশ্চিম তীর দুইভাগে ভাগ করে ফেলতে সক্ষম হবে ইসরায়েল। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও মানবাধিকার গ্রুপ ও ফিলিস্তিনি নাগরিকেরা এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছেন।