ভুল করে স্পর্শকাতর তথ্য ইন্টারনেটে প্রকাশ করে দিয়েছিল জাতিসংঘ!

পাসওয়ার্ড, অভ্যন্তরীণ নথি ও ওয়েবসাইট সম্পর্কিত কারিগরি তথ্য ভুলক্রমে ইন্টারনেটে প্রকাশ করে ফেলেছিল জাতিসংঘ। প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাপস 'ট্রেলো', ইস্যু ট্র্যাকিং অ্যাপস 'জিরা' ও অফিস স্যুট 'গুগল ডকসে' ত্রুটিপূর্ণ কনফিগারেশনের কারণে স্পর্শকাতর তথ্যগুলো অনলাইনে প্রকাশ হয়ে পড়েছিল। তবে এরইমধ্যে প্রকাশ হয়ে পড়া বেশিরভাগ তথ্য সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে জাতিসংঘ। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্টারসেপ্ট-এর প্রতিবেদন থেকে এসব কথা জানা গেছে।

প্রতীকী ছবি
ইন্টারসেপ্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভুলের কারণে জাতিসংঘের স্পর্শকাতর নথিগুলো যথার্থ লিংকসহ অনলাইনে সহজলভ্য হয়ে পড়ে। অথচ এগুলোতে কেবল নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীর প্রবেশের অনুমতি রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ডাটার মধে রয়েছে-জাতিসংঘের একটি ফাইল সার্ভারের পরিচয়পত্র, জাতিসংঘের ভাষা স্কুলের ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম এবং জাতিসংঘের মানবিকতাবিষয়ক সমন্বয়কারী কার্যালয়ের ওয়েব ডেভেরফমেন্ট এনভায়রনমেন্ট। নিরাপত্তা গবেষক কুশাগরা পাঠক এক মাসেরও বেশি সময় আগে এ আকস্মিক ডাটা ফাঁসের বিষয়টি শনাক্ত করেন এবং এ ব্যাপারে জাতিসংঘকে অবহিত করেন। এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ ডাটাই সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে জাতিসংঘ।

অনলাইন চ্যাটে ইন্টারসেপ্টকে কুশাগরা পাঠক জানান, গুগলে সার্চ করার সময় তিনি স্পর্শকাতর তথ্যগুলো পেয়েছেন। সার্চের মাধ্যমে প্রকাশ হয়ে পড়া ট্রেলো পেজগুলো তার সামনে এসেছে। এগুলোর কোনও কোনওটিতে প্রকাশ হয়ে পড়া গুগল ডকস ও জিরা পেজগুলোতে যাওয়ার লিংক ছিল।    

প্রতীকী ছবি ২
ট্রেলো প্রজেক্টগুলো ‘বোর্ডে’ সাজানো থাকে এবং সেখানে ‘কার্ডস’ নামে কাজের তালিকা থাকে। বোর্ডগুলো প্রকাশ্য কিংবা গোপনীয় দুই-ই হতে পারে। জাতিসংঘ পরিচালিত একটি প্রকাশ্য ট্রেলো বোর্ড পাওয়ার পর কৌশল খাটিয়ে জাতিসংঘের অন্য বোর্ডে চলে যেতে সক্ষম হন কুশাগরা পাঠক। একটি ট্রেলো বোর্ড ব্যবহারকারীরা অন্য বোর্ডেও সক্রিয় আছেন কিনা তা যাচাই করতে গিয়ে এর সন্ধান পান তিনি। জাতিসংঘের ট্রেলো বোর্ডে জিরার একটি ইস্যু ট্রেকারের লিংকও পান। সেখানে আরও বেশি স্পর্শকাতর তথ্য পাওয়া যায়। গুগল ডকস ও গুগল ড্রাইভে থাকা নথির লিংকও খুঁজে পান পাঠক। জাতিসংঘের ওয়েব অ্যাড্রেস জানা আছে এমন যে কেউই গুগল ডকস ও গুগল ড্রাইভে ঢুকতে পারছিলেন। এসব নথির কোনও কোনওটিতে পাসওয়ার্ডও দেওয়া ছিল।