সাইবার আক্রমণে রুশ গোয়েন্দাদের দায়ী করছে যুক্তরাজ্য

চারটি বড় সাইবার আক্রমণের জন্য রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা সংস্থাকে দায়ী করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। দেশটির ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার (এনসিএসসি) বলছে আক্রান্তদের মধ্যে রাশিয়া ও ইউক্রেনে থাকা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। এছাড়া মার্কিন ডেমোক্র্যাটিপক পার্টি ও যুক্তরাজ্যের ছোট একটি টিভি নেটওয়ার্ক রয়েছে।  রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এই অভিযোগকে ‘ব্রিটেনের সহকর্মীদের উর্বর কল্পনা আখ্যা দিয়েছেন’।noname
সন্দেহভাজন এই রুশ সাইবার হামলায় বিশ্ব মাদক বিরোধী সংস্থার (ওয়াল্ড এন্টি ডোপিং এজেন্সি) কম্পিউটারও আক্রান্ত হয়েছিল। পরে প্রকাশিত নথিতে জানা যায় বৈধ মেডিক্যাল কারণে যুক্তরাজ্যের সাইক্লিস্ট ব্রাডলি উইগনস ও ক্রিস ফ্রুম কিভাবে নিষিদ্ধ বস্তু ব্যবহার করেছিলেন। ওই সময়ে কয়েকটি হামলার জন্য রাশিয়ার সংশ্লিষ্টতাকে কথা বলা হলেও প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্য রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা জিআরইউিএর দিকে আঙ্গুল তুলেছে যুক্তরাজ্য।

ব্রিটিশ পুলিশের ধারণা মার্চে যে ব্যক্তিরাই স্যালসব্যুরিতে বিষ প্রয়োগ করেছিলেন সেই গ্রুপটিই এই সাইবার আক্রমণের সঙ্গে জড়িত।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রনণালয়ের পক্ষে মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, যুক্তরাজ্যের অভিযোগ একই বোতলের মদ। তবে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী গেভিন উইলিয়ামসন রাশিয়াকে ব্রাত্য রাষ্ট্র আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘বেপরোয়া ও নির্বিচার’ হামলা চালানোর কারণে মস্কো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার বলছে ‘অতি গোপনীয়তায়’ রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা জিআরইউ প্রায় নিশ্চিতভাবে এই সাইবার হামলার জন্য দায়ী।

এনসিএসসি বলছে, জিআরইউ এর হ্যাকাররা ভিন্ন ভিন্ন নামে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এদের মধ্যে একটি নাম রয়েছে ফেন্সি বিয়ার। এসব হ্যাকাররা জালিয়াতির মাধ্যমে মন্ট্রিলভিত্তিক ওয়ার্ল্ড এন্টিডোপিং এজেন্সি’র সিস্টেম ডাটাবেজের পাসওয়ার্ড হাতিয়ে অ্যাথলেটদের ডাটা নিয়ে নেয়। পরে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়। এছাড়াও আরেকটি হামলায় তারা ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির ওয়েবসাইটে হামলা চালিয়ে ইমেইল ও চ্যাট হাতিয়ে নিয়ে অনলাইনে প্রকাশ করে দেয়। এই ঘটনায় এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সম্পৃক্ত করেছে। ২০১৭ সালের অক্টোবরে ইউক্রেনের কাইয়িভ মেট্রো, ওদেশা বিমানবন্দর, রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং দুটি ব্যক্তিগত মালিকানার রুশ সংবাদমাধ্যমেও ওই হ্যাকাররা হামলা চালায়। অপর এক ঘটনায় ২০১৫ সালের আগস্টে নাম প্রকাশ না করা যুক্তরাজ্য ভিত্তিক একটি ছোট টেলিভিশন চ্যানেলে সাইবার হামলা চালিয়ে ইমেইল অ্যাকাউন্ট ও কনটেন্ট চুরি করে নেয়।