ফ্লোরিডার দিকে ধেয়ে আসছে দানবীয় ঘূর্ণিঝড় মাইকেল

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার দিকে ধেয়ে আসছে দানবীয় ঘূর্ণিঝড় মাইকেল। গতকাল মঙ্গলবার তীব্র আকার ধারণ করে এটি ফ্লোরিডা উপকূলের দিকে ধেয়ে আসতে শুরু করে। বুধবার দিনশেষে এটি আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তিন লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষকে অপেক্ষাকৃত উঁচু ও নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

nonameক্যাটাগরি ৩-এর  শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মেক্সিকো উপসাগরের পাশে ফ্লোরিডায় ঘণ্টায় প্রায় ১২৫ মাইল বেগে বাতাস বইছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুপুরের দিকে এটি আরও শক্তিশালী হয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এতে উপদ্রুত এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফ্লোরিডার গভর্নর রিক স্কট সতর্ক করে বলেছেন, গত কয়েক দশকের মধ্যে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কর্মকর্তাদের সতর্কতা উপেক্ষা করলে এটি প্রাণহানির কারণ হতে পারে।

ন্যাশনাল হ্যারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে তীব্র বাতাস বইতে পারে। এর সঙ্গে যুক্ত হবে ভারী বৃষ্টি। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ১২ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।

ন্যাশনাল হ্যারিকেন সেন্টারের আশঙ্কা, ফ্লোরিডার উপকূলে আঘাত হানার আগে ঘূর্ণিঝড়টি ক্যাটাগরি ৩ থেকে ক্যাটাগরি ৪-এ রূপ নিতে পারে।

এনএইচসি-এর সাবেক প্রধান রিক নাব-ও ঝড়টি নিয়ে জনগণকে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন, এটি ফ্লোরিডার প্যানহ্যানডেলে সংঘটিত এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে হাতে খুব বেশি সময় নেই।

এই ঝড়ের আঘাতে মধ্য আমেরিকার দেশগুলোতে ইতোমধ্যে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এর ক্ষয়ক্ষতি কমাতে এরইমধ্যে ফ্লোরিডায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘অঙ্গরাজ্যের ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের নির্দেশগুলোর প্রতি মনোযোগী হওয়াটা আপনাদের জন্য জরুরি। অনুগ্রহ করে প্রস্তুত থাকুন, সতর্ক ও নিরাপদ থাকুন।’