ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেট তল্লাশি করবে তুরস্ক

 

সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি নিখোঁজের ঘটনা তদন্তে নিয়োজিত তুর্কি কর্মকর্তারা সোমবার সন্ধ্যায় ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে তল্লাশি চালাবে। তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেট

জামাল খাশোগি গত সপ্তাহে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে তুরস্কের ইস্তানবুল শহরের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর আর বের হননি। সৌদি আরব অবশ্য বলছে, খাশোগি কনস্যুলেট ভবন থেকে বের হয়ে গেছেন। তবে তুরস্কের পক্ষ থেকে এর প্রমাণ চাওয়া হলে তা সরবরাহে ব্যর্থ হয়েছে রিয়াদ। তুরস্কের দাবি, তাদের তদন্তকারীদের হাতে নিশ্চিত প্রমাণ রয়েছে কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে। গত সপ্তাহে তুরস্কে আসা ১৫ সদস্যের একটি সৌদি দল এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ আঙ্কারার।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কনস্যুলেটে তল্লাশির চালানোর বিষয়টি বিবিসিকে নিশ্চিত করা হলেও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। তুর্কি কূটনৈতিক ‍সূত্রগুলো বলছে, সোমবার বিকাল কিংবা সন্ধ্যায় তুকি-সৌদি যৌথ তদন্ত দল কনস্যুলেটটি পরিদর্শন করবে।

সৌদি আরব গত সপ্তাহেই দূতাবাসে তল্লাশি চালানোর জন্য তুর্কি কর্মকর্তাদের অনুমতি দিয়েছিল। তবে তা শুধুমাত্র দৃশ্যমান তদন্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। তুরস্ক ওই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে। তারা ওই ভবনে লুমিনল নামে একটি রাসায়নিক দিয়ে পরীক্ষা করতে চেয়েছে। ওই রাসায়নিকের মাধ্যমে যেকোনও ধরনের রক্ত শনাক্ত করা সম্ভব।

রবিবার রাতে সৌদি বাদশাহ সালমান ও তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান টেলিফোনে আলাপ করেছেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় দুই দেশের এক সঙ্গে কাজ করার গুরুত্ব তুলে ধরে আলোচনা করেছেন।

খাশোগি নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই সৌদি আরবের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে তুমুল নিন্দার ঝড় শুরু হয়। রবিবার (১৪ অক্টোবর) এক যৌথ বিবৃতিতে খাশোগি নিখোঁজের ঘটনায় বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত দাবি করেছে যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্স। বিবৃতিতে বলা হয়, খাশোগি নিখোঁজের ঘটনায় ‘সত্য বের করে আনতে হবে’। খাশোগির সঙ্গে আসলে কী ঘটেছে রবিবার সৌদি আরবকে তা ব্যাখ্যা করতে আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট। বলেছেন, ‘তাদের যদি লুকোছাপা করার কিছু না থাকে, তবে তাদের সহযোগিতা করা উচিত। তাদের দাবি অনুযায়ী এ ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড যদি না ঘটে থাকে, তাহলে জামাল খাশোগি কোথায় গেলেন, সে কথাটাই বিশ্ব জানতে চায়।