বোকো হারামের হামলায় নাইজেরিয়ার দুটি গ্রাম ভস্মীভূত

আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ার বোরনো প্রদেশের দুটি গ্রামে সশস্ত্র সংগঠন বোকো হারামের হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা এবং বেসামরিক যোদ্ধাদের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, বুলাবুরিন ও কোফা গ্রাম ছাড়াও কয়েক দফা হামলার মুখে পড়ে উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় নাইজেরিয়ায় বাস্তুচ্যুত মানুষদের জন্য স্থাপিত একটি ক্যাম্প। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বেসামরিক যোদ্ধাদের নেতা বাবাকুরা কোলো বলেছেন, সন্ত্রাসীদের হামলায় বুলাবুরিন ও কোফা গ্রাম পুরো ভস্মীভূত হয়ে গেছে আর দালোরি-২ ক্যাম্পের অর্ধেক পুড়ে গেছে।noname
ইসলামিক স্টেট থেকে ভাগ হয়ে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ২০ হাজারের বেশি মানুষ হত্যা করেছে বোকো হারামের সদস্যরা। তাদের হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে ২০ লাখের বেশি মানুষ। সরকার দাবি করে আসছে সশস্ত্র এই গ্রুপটি পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে কিন্তু এখনও উত্তরাঞ্চলীয় নাইজেরিয়াতে এখনও দুই পক্ষের মধ্যে ভারী যুদ্ধ চলছে।

বুধবার বোকো হারামের সদস্যরা সাতটি ট্রাকে করে এসে ওই গ্রাম দুটি এবং অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষদের ক্যাম্পে হামলা চালায়। বাবাকুরা কোলো জানান, তারা বুলাবুরিন গ্রামে নয়জন, দালোরিতে দুই জন এবং কোফা গ্রামে একজনকে হত্যার পর খাবার সরবরাহ লুট করার পর সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়।

কোফার বাসিন্দা মুসা গনি বলেন বোকো হারাম সদস্যরা নির্বিচার গুলি শুরু করলে একজন নিহত হয় আর বাকিরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে তারা পাশের বুলাবুরিন গ্রামে যায় আর নয়জনকে গুলি করে হত্যা করে খাবার লুটের পর গ্রাম পুড়িয়ে দেয়।

দালোরি-২ ক্যাম্পে দশ হাজার মানুষের বাস। সেনাবাহিনী এবং বেসামরিক যোদ্ধারা এই ক্যাম্পের পাহারা দেয়। ওই ক্যাম্পের বাসিন্দা সলেমান আদামু বলেন, বোকো হারাম সদস্যরা আগুন ধরিয়ে দেওয়ার আগে পাহারাদারদের সঙ্গে গুলিবিনিময় করে। এএফপিকে তিনি বলেন, বোকো হারামের বন্দুকধারীরা যখন এসে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়লো আর আশপাশ দেখে নিয়ে আগুন দেওয়া শুরু করলো। আদামু বলেন, বাসিন্দারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় আর দুইজন নিহত ও অনেকে আহত হয়।

নাইজেরিয়ার সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বোকো হারামের সদস্যরা দালোরির বাজার লুট করার পর এক বেসামরিক ব্যক্তির মরদেহ পাওয়া যায়। তারা বিভিন্ন বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে সেনা সদস্যরা পৌঁছালে পালিয়ে যায়।