ভেনেজুয়েলার শরণার্থী সংখ্যা ৩০ লাখেরও বেশি

বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেওয়া ভেনেজুয়েলার শরণার্থী সংখ্যা ৩০ লাখেরও বেশি ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশ। অর্থনৈতিক ধস, সহিংসতা ও খাদ্যাভাবে ভেনেজুয়েলা ছেড়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন তারা।

37b92023412142e28d4082021485cb49_18

তেল উৎপাদনকারী পশ্চিম গোলার্ধের দেশগুলোর মধ্যে ভেনেজুয়েলার মজুতই সবচেয়ে বেশি। তারপরও দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ এখন বিশ্বের সর্বোচ্চ। দেশটিতে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও ওষুধের চরম সংকট চলছে। অনেক নাগরিকই অনাহারে থাকার কথা জানিয়েছেন। ভেনেজুয়েলার রাজনৈতিক অবস্থাও অস্থির। বিরোধীরা অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের জন্য সমাজতন্ত্রী দলের শাসনকে দায়ী করেছেন। গত বছর সরকারবিরোধী আন্দোলনে নিহত হয়েছে বহু বিরোধী দলীয় সমর্থক। বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে বিরোধীরা প্রচারণা চালালেও মে মাসের নির্বাচনে আবার জিতেছেন তিনি। আর তাকে লক্ষ্য করে ড্রোনবাহিত বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটার পর দেশটির রাজনৈতিক অবস্থা আরও অস্থির হয়ে উঠে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার মুখপাত্র উইলিয়াম স্পিন্ডার বলেন, ৩০ লাখের মধ্যে ২৩ লাখই দেশ ছেড়ে ২০১৫ সালে। তবে গত ছয় মাসে শরণার্থী ঢল বেড়েছে। তিনি বলেন, কলোম্বিয়া ও পেরুতেই শরণার্থী সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

কলম্বিয়ায় ১০ লাখেরও বেশি শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে, পেরুতে পাঁচ লাখের বেশি। ইকুয়েডরে ২ লাখ ২০ হাজার, আর্জেন্টিনায় ১ লাখ ৩০ হাজার, চিলিতে এক লাখ ও ব্রাজিলে ৮৫ হাজার।

কলম্বিয়ায় এখনও প্রতিদিন ৩ হাজার শরণার্থী প্রবেশ করে। এই হারে ২০২১ সালের মধ্যে দেশটিতে শরণার্থী সংখ্যা ৪০ লাখ পেরিয়ে যাবে। তাদের পেছনে ব্যয় হবে ৯০০ কোটি ডলার।

ভেনেজুয়েলানদের আশ্রয় দেওয়া কলম্বিয়ান পাদ্রী ফ্রান্সেসকো বরটিঙ্গন বলেন, মেক্সিকোতে প্রবেশের জন্য পাগল হয়ে যায় শরণার্থীরা। প্রতি চারদিনে আমাদের এখানে প্রায় ৬ হাজার অভিবাসী আসে।

বিশ্বব্যাংক জানায়, এই সংকটে কলম্বিয়া তাদের বার্ষিক বাজেটের প্রায় অর্ধেক ব্যয় করে ফেলেছে। টাকার পরিমাণে ১২০ কোটি ডলার।  চলতি বছর প্রথম দিকে অভিবাসী ঢল ঠেকাতে সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলো ইকুয়েডর ও পেরু।