খাশোগি হত্যাকাণ্ডে সৌদি আরবের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করছে ফ্রান্স

সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের জের ধরে সৌদি আরবের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে বলে জানিয়েছে ফ্রান্স। মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন ইয়েস লো দ্রিয়ান বলেন, আমরা যা জানি তার ওপর ভিত্তি করে খুব দ্রুতই নিষেধাজ্ঞা জারি করবো।’

সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি

 

যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা ও ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট খাশোগি গত ২ অক্টোবর ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে যাওয়ার পর নিখোঁজ হন। এই ঘটনার পর সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে তাকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিশ্বজুড়ে। খাশোগির নিখোঁজের ঘটনায় নানা বিভ্রান্তিমূলক বর্ণনা হাজিরের প্রায় ১৫ দিন পর খাশোগিকের হত্যার কথা স্বীকার করে সৌদি আরব। রিয়াদের তরফ থেকে দাবি করা হয়, সৌদি আরবে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় তাকে হত্যা করে কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার সৌদি পাবলিক প্রসিকিউটরের দফতর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রাণঘাতী ইনজেকশন প্রয়োগের পর ধস্তাধস্তির পর হত্যা করা হয় খাশোগিকে। ইতোমধ্যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে ১৭ জনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জার্মানিও জানিয়েছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞর কথা।

এবার ফ্রান্সের পক্ষ থেকেও একইরকম ঘোষণা এলো। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খাশোগি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খুঁজে বের করতেই হবে। তিনি জানান, ফ্রান্স ও জার্মানি এই বিষয়ে সহযোগিতা করছে।

কাতার, কানাডা, ইয়েমেন যুদ্ধ এবং সংবাদকর্মীদের ওপর দমনাভিযান নিয়ে সৌদি নীতির কড়া সমালোচক ছিলেন জামাল খাশোগি। ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে ভ্রমণ এবং সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য পরিচিত ছিলেন তিনি। আফগানিস্তানে সোভিয়েতবিরোধী লড়াই নিয়ে লেখালেখি করতে তিনি ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৫ সালের মধ্যে বিন লাদেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ১৯৯০ দশকের প্রথম দিকে তিনি বিন লাদেনের সঙ্গে সৌদি রাজপরিবারের বিরোধ মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করেন। লাদেনকে সুদান থেকে কার্যক্রম গুটিয়ে নিজ দেশে ফেরার অনুরোধ জানালেও আল কায়েদা নেতা তা প্রত্যাখ্যান করেন।