আমি কোনও আইন ভঙ্গ করিনি: পলাতক জাকির নায়েক

মালয়েশিয়ায় বসবাসরত ভারতের বিতর্কিত ইসলামি বক্তা জাকির নায়েক দাবি করেছেন, তিনি দেশের কোনও আইন লঙ্ঘন করেননি। ইসলামের শত্রুরাই তাকে ফাঁসিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ কথা জানা গেছে।

জাকির নায়েক
মুম্বাইয়ের এই ইসলামি চিন্তাবিদের বিরুদ্ধে হাওয়ালায় টাকা লেনদেন ও ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ রয়েছে। গ্রেফতার এড়াতে বর্তমানে তিনি বর্তমানে তিনি মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন। ভারতের একাধিক তদন্ত সংস্থা তাকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করলেও এখনও তা সফল হয়নি। জাকির নায়েককে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার।

শনিবার (১ ডিসেম্বর) মালয়েশিয়ায় বসেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন জাকির নায়েক। এদিন উত্তর মালয়েশিয়ার পেরিল প্রদেশের কাঙ্গারে এক সভায় জাকির নায়েক বলেন, ‘আমি দেশের কোনও আইন ভাঙিনি। আমাকে নিশানা করেছে ইসলামের শত্রুরা।’

ওই সভায় জাকির নায়েক আরও বলেন, ‘যেসব মানুষ চান না সমাজে শান্তি আসুক তারাই আমার বিরুদ্ধে বলছে। আমি শান্তির বাণী প্রচার করছি। এটা সব জায়গার জন্যই সত্যি, তা আমার দেশ ভারতের ক্ষেত্রেই হোক কিংবা কোনও পশ্চিমা দেশ।’

২০১৬ সালে বাংলাদেশের গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর জাকির নায়েক ব্যাপক আলোচনায় আসেন। গুলশান হামলাকারীদের মধ্যে অন্তত দুইজন জাকির নায়েককে অনুসরণ করত বলে অভিযোগ ওঠার পর এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। নিহত জঙ্গিদের দুজন-রোহান ইমতিয়াজ এবং নিবরাস ইসলাম জাকির নায়েককে অনুসরণ করত বলে অভিযোগ রয়েছে। রোহান ২০১৫ সালে জাকির নায়েকের পিস টিভির একটি অনুষ্ঠান তার ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছিল। এছাড়া ভারতে বিভিন্ন সময়ে আটক হওয়া জঙ্গিরাও জাকির নায়েককে অনুসরণ করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পাটনার গান্ধী ময়দান ও বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণে আটক জঙ্গিদের কাছ থেকেও জাকিরের বক্তৃতার সিডি ও বই উদ্ধারের দাবি করেছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। এমন প্রেক্ষাপটে ভারতে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর দাবি ওঠে।