বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সংস্কার চায় জি-২০ দেশগুলো

আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সে জি-২০ সম্মেলনের শেষ দিন শনিবার গৃহীত হয়েছে চূড়ান্ত ঘোষণা। এতে মোট ৩১টি বিষয় ছাড়াও রয়েছে দেশগুলোর মন্ত্রিসভা ও ওয়ার্কিংগ্রুপের অনুমোদন পাওয়া নথিগুলোর একটি তালিকা। ওই ঘোষণা সম্বলিত বিবৃতিতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছে। আগামী সম্মেলনে এই সংস্কারের অগ্রগতির পর্যালোচনার কথা বলেছেন জি-২০ নেতারা। ২০১৯ সালের জুনে জাপানে অনুষ্ঠিত হবে পরবর্তী জি-২০ সম্মেলন।

1070286003

বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে জি ২০ নেতারা উন্নতি, উৎপাদন, উদ্ভাবন, কর্মসংস্থান ও উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ চালিকা শক্তি বলে অভিহিত করেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থাই সেই সুযোগ তৈরি করেছে বলে আমরা স্বীকৃতি দেই। বর্তমানে এই ব্যবস্থায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে আর উন্নতি করার সুযোগ তৈরি করেছে। সে কারণে আমরা ডব্লিউটিও-কে কার্যক্রমে উন্নয়ন ঘটাতে প্রয়োজনীয় সংস্কারে সমর্থন জানাচ্ছি।

টেকসই অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জনে ‘সব ধরণের নীতিগত উপায়’ ব্যবহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জি ২০ নেতারা। তারা আরও আভাস দিয়েছেন, অর্থনৈতিক কার্যক্রম ও মূল্যের স্থিতিশীলতাকে সহায়তা করার জন্য নতুন মুদ্রা ও কর নীতির জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছেন।

জি-২০ নেতারা বিতাড়িত অভিবাসীর সংখ্যা কমাতে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন। তাদের মতে, এই অভিবাসীরা মানবিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিণতির কারণে বৈশ্বিক উদ্বেগ হয়ে উঠেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা এই বিতাড়িত হওয়ার মূল উৎপাটনে এক সঙ্গে কাজ করা ও তাদের জন্য মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার গুরুত্বকে তুলে ধরেছি।

জি-২০ সম্মেলনের ঘোষণায় জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ঘোষণায় স্বাক্ষরকারী দেশগুলো নিশ্চিত করেছে যে, প্যারিস চুক্তিটি অপরিবর্তনীয়। চুক্তিটির পূর্ণ বাস্তবায়নে জন্য সবার প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে দেশগুলো। বিশেষ করে তারা টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সময় জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কাজ করার আগ্রহের কথা বলেছে তারা।

জি-২০ ঘোষণায় প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বের হয়ে আসা সম্পর্কেও উল্লেখ করা হয়েছে। ঘোষণায় বলা হয়েছে, প্যারিস চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্ব্যক্ত করেছে। দেশটি সব জ্বালানি উৎস ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও জ্বালানি নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবে বলে জানিয়েছে।