আরব দেশ সফরের অংশ হিসেবে মৌরিতানিয়ার পর এবার আলজেরিয়ায় পৌঁছেছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। রবিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে তিনি আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে পৌঁছান। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ কথা জানা গেছে।
রবিবার (২ ডিসেম্বর) মৌরিতানিয়া থেকে সৌদি যুবরাজ আলজেরিয়ায় পৌঁছান। তাকে আলজিয়ার্স বিমানবন্দরে স্বাগত জানান আলজেরীয় প্রধানমন্ত্রী আহমেদ উইয়াহিয়া ও তার সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। দেওয়া হয় লাল গালিচা সংবর্ধনা।
মূলত তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল খাতের উপর ভিত্তি করেই আলজেরিয়া ও সৌদি আরবের মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। দেশটিতে সৌদি যুবরাজের দুইদিনের সফরে এসব বিষয় নিয়েই আলোচনা হওয়ার কথা। একইসঙ্গে সৌদি আরব ও এর চির বৈরি দেশ ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা গুটিকয়েক আরব দেশের একটি আলজেরিয়া। কাতারের সঙ্গেও আলজেরিয়ার সম্পর্ক বেশ দৃঢ়। ২০১৭ সালে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়ার অভিযোগ তুলে কাতারের সঙ্গে সৌদি আরব ও আরও তিনটি দেশ বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। যদিও সে অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে কাতার।
তুরস্কের সঙ্গেও আলজেরিয়ার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তবে অনুসন্ধানী সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে তুরস্ক ও সৌদি আরবের সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে।
সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার ঘটনায় সন্দেহের তীর উঠেছে সৌদি যুবরাজের দিকেও। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক চাপের মুখে আছেন তিনি। এর মধ্যেই আঞ্চলিক সফর শুরু করেন সৌদি যুবরাজ বিন সালমান। ৫৯ বছর বয়সী খাশোগি একসময় সৌদি রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি যুবরাজের কঠোর সমালোচকে পরিণত হন। গ্রেফতার এড়াতে দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাসনে চলে যান খাশোগি। দ্বিতীয় বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে গত ২ অক্টোবর ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে গিয়ে হত্যার শিকার হন খাশোগি। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে খাশোগি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে সৌদি আরব জানায়,ইস্তানবুলের কনস্যুলেটে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে খুন হন তিনি। এ ঘটনায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও ওঠে। তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ সে অভিযোগ নাকচ করে আসছে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান খাশোগি হত্যার ঘটনায় সরাসরি সৌদি যুবরাজকে দায়ী না করলেও তিনি দাবি করেছেন,সৌদি আরবের ‘শীর্ষ পর্যায়’ থেকে হত্যার নির্দেশ এসেছে।