একতরফাভাবে ব্রেক্সিটের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে পারবে যুক্তরাজ্য: ইইউ আদালত

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এর বাকি ২৭ সদস্যের অনুমতি ছাড়াই একতরফাভাবে ব্রেক্সিট বাতিল করতে পারবে যুক্তরাজ্য। সোমবার (১০ ডিসেম্বর) দ্য ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিস (ইসিজে) এর এক রুলে এ কথা বলা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে আসার জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র প্রস্তাবে ভোটাভুটির ঠিক একদিন আগে এ সিদ্ধান্ত জানানো হলো।

ইইউ আদালত
ব্রিটিশদের মধ্যে ব্রেক্সিট নিয়ে রয়েছে প্রবল ভিন্নমত। জরিপে ব্রেক্সিট গণভোট পরবর্তী সময়ে দেশটির জনগণের মনোভাব পাল্টে যাওয়ার চিত্র দেখা গেছে। অন্যদিকে তেমনি ব্রেক্সিটবিরোধীদের অনেকে দাবি তুলেছেন আরেকটি গণভোটের। ব্রেক্সিট চুক্তি চূড়ান্ত করা নিয়ে মতবিরোধের জেরে পদত্যাগ করেছেন দুই দুইজন ব্রেক্সিটবিষয়ক মন্ত্রী। অন্য মন্ত্রণালয়েরও কয়েকজন সরে দাঁড়িয়েছেন। পাশাপাশি, থেরেসা মেকে ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টির সংসদীয় প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দিতে আস্থা ভোটের দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন দলটির বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য। ৪৮ জন দাবি করলেই ডাকা হবে আস্থা ভোট। মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট চুক্তির ওপর এমপিদের ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে।

বেক্সিটবিরোধী রাজনীতিবিদদের একাংশ যুক্তি দেখিয়েছেন, যুক্তরাজ্যের উচিত একতরফাভাবে ব্রেক্সিট স্থগিত করা, তবে তাদের বিরোধিতা করেছে ব্রিটিশ সরকার ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে সোমবার ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিসের জারিকৃত রুলে বলা হয়েছে, একতরফাভাবেই যুক্তরাজ্য ব্রেক্সিট বাতিল করতে পারবে।

ইউরোপীয় কোর্টের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নকে জানানোর পরও কোনও সদস্য রাষ্ট্র তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারে। সদস্যপদ প্রত্যাহারজনিত চুক্তিতে পৌঁছানোর আগে কিংবা সদস্যপদ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানানোর পর দুই বছর পর্যন্ত সিদ্ধান্ত বদলের সময় পাবে তারা। যদি দুই বছরের ওই সময়সীমা বাড়ানো হয়, তবে বর্ধিত সময় পর্যন্ত সদস্য রাষ্ট্রটি সিদ্ধান্ত বদলের সুযোগ পাবে। তবে আদালত জানিয়ে দিয়েছে সিদ্ধান্ত বদলের ক্ষেত্রে ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ’ করতে হবে। যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রেও সিদ্ধান্ত বাতিলে পার্লামেন্টের অনুমোদন লাগবে। অনুমোদন পাওয়ার পর তাদের ‘দ্ব্যর্থহীন ও নিঃশর্ত’ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে লিখিতভাবে জানাতে হবে।