ভেনিজুয়েলায় পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম ২ যুদ্ধবিমান পাঠালো রাশিয়া

লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনিজুয়েলায় পরমাণু শক্তিধর দুইটি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে রাশিয়া। সোমবার বিমানদুটি ভেনেজুয়েলা পৌঁছায়। এই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।  রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, সোমবার ভেনেজুয়েলার কারাকাশে বিমান দুটি অবতরণ করে। তবে তাদের কাছে পরমাণু অস্ত্র ছিলো কি না তা নিশ্চিত কয়া যায়নি। জানা যায়নি কতদিন বিমান দুটি সেখানে অবস্থান করবে।

WireAP_4b7fb826e1b643049890d402c41a2083_12x5_992

টিইউ-১৬০ মডেলের এই বিমান দুটি শব্দের গতির চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে উড়তে পারে। সিরিয়ায় রুশ অভিযানে এমন যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা হয়েছিলো। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, বিমান দুটি ভেনেজুয়েলা যাওয়ার সময় একটি নরওয়েজিয়ান এফ-১৮ ফাইটার তাদের অনুসরণ করে। এছাড়া একটি ১২৪ রুশ কার্গো বিমানও ছিলো।

গত সপ্তাহে রাশিয়া সফর করেছিলেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলস মাদুরো। ঋণে জর্জরিত দেশটি রাশিয়ায় সহায়তার আশায় পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেন, তারা ভেনেজুয়েলার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সামরিক সম্পর্কের আওতায় এমন বিমান পাঠাবেন।

মার্কিন নির্বাচনে রুশ সংযোগ, রাশিয়ার সীমান্তে মার্কিন ও ন্যাটো সেনাদের অবস্থান, সিরিয়া ও ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মাঝেই লাতিন আমেরিকায় পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম বিমান পাঠানোয় উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা।

পেন্টাগনের মুখপাত্র কর্নেল রব ম্যানিং বলেন, তারা এই মোতায়েন নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানেন না। তবে তিনি অভিযোগ করেন, ‘ভেনেজুয়েলায়  মানবসৃষ্ট দুর্যোগে  জনসাধারণের পাশে না দাঁড়িয়ে অস্ত্র সহায়তা করছে রাশিয়া।’

জবাবে রুশ সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, এমন কোনও এই অভিযোগ করতে পারে না যাদের সামরিক বাজেটের টাকা দিয়ে পুরো আফ্রিকা মহাদেশে খাবার সরবরাহ সম্ভব।