স্ট্রাসবুর্গের বন্দুকধারীকে জীবিত কিংবা মৃত পেতে চায় ফ্রান্স

ফ্রান্সের পূর্বাঞ্চলীয় শহর স্ট্রাসবুর্গে বন্দুক হামলাকারীকে খুঁজছে পুলিশ। জীবিত বা মৃত যে কোনও অবস্থাতেই তাকে খুঁজে পেতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। তাকে ধরতে তল্লাশি অভিযানে অংশ নিয়েছেন সাত শতাধিক পুলিশ সদস্য। জার্মানি সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাসহ আরও বিভিন্ন স্থানে চেকপয়েন্ট বসানো হয়েছে।

nonameহামলাকারী জীবিত না মৃত ধরতে চায় পুলিশ? এ বিষয়ে নির্দেশনা কী? সংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ফ্রান্স সরকারের মুখপাত্র বেঞ্জামিন গ্রিভিউআক্স সি নিউজ’কে বলেন, ‘এটি কোনও বিষয় নয়। সবচেয়ে ভালো হয়, যত দ্রুত সম্ভব তাকে খুঁজে পেলে।’

এর আগে ২০১৫ সালের নভেম্বরে প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় বেঁচে যাওয়া প্রধান সন্দেহভাজন সালাহ আবদেসালাম-কে খুঁজে বের করতে পুলিশের চার মাস সময় লেগেছিল।

গত মঙ্গলবারের ঘটনায় স্ট্রাসবার্গের বিখ্যাত ক্রিসমাস মার্কেটের কাছে রাত আটটার দিকে হামলা চালায় সন্দেহভাজন বন্দুকধারী। টহলরত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ হয় তার। এ ঘটনায় প্রাণ হারান তিনজন। আহত হন আরও ১৩ জন। পুলিশের পক্ষ থেকে সন্দেহভাজন হামলাকারীর বয়স ২৯ বলে জানানো হলেও তার নাম-পরিচয় জানানো হয়নি। স্থানীয় কিছু সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী তার নাম শাকেত। তাকে উগ্রবাদী বিবেচনা করছে পুলিশ।

হামলার এক পর্যায়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, আহত অবস্থায় পালিয়ে যান ওই ব্যক্তি। এই ঘটনার পর নুডর্ফের বাসিন্দাদের ঘর থেকে বের না হওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়। ফ্রান্সের সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট এর তদন্ত করছে।

পুলিশের ফাইল ছবিতে দেখা যায়, সন্দেহভাজন হামলাকারী আফ্রিকান বংশোদ্ভূত। তার বিরুদ্ধে চুরি ও সহিংসতা সংক্রান্ত ২৭টি অভিযোগ রয়েছে। ফ্রান্স, জার্মানি এবং সুইজারল্যান্ডের জেলেও কারাবাসের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।

স্ট্রাসবার্গের হামলার পর নিরাপত্তা জোরদার করছে ফ্রান্স ও স্পেন। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে ফরাসি প্রধানমন্ত্রী এডুয়ার্ডো ফিলিপ বলেন, বড়দিনের মৌসুমে সারাদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন থাকবে। সূত্র: সিএনএন, নিউজ ডটকম ডট এইউ।