২ বছরে নাইজেরিয়ায় ‍কৃষক ও পশুপালকদের সংঘর্ষে নিহত ৩৬০০

আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় কৃষক ও পশুপালকদের মধ্যকার সংঘর্ষে গত দুই বছরে ৩ হাজার ৬০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ব্রিটিশ মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদন থেকে এই পরিসংখ্যান উঠে আসে।

159b03b6fc93444c8f5e611144c8df83_18সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু ২০১৮ সালেই প্রাণ হারিয়েছে দুই হাজার জন। ঘর হারিয়েছেন কয়েক হাজার।

মূলত আবাদী জমি ও পানি নিয়ে প্রায়ই দেশটিতে দুই পক্ষের সংঘাত বাঁধে। অনেকে সহিংসতা বৃদ্ধির জন্য লিবিয়া থেকে অবৈধ অস্ত্র আসার বিষয়টিকে দায়ী করে আসছেন। আবার অনেকে বলছেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গিদের সামলাতে ব্যস্ত থাকায় গোষ্ঠী সংঘাত থামাতে ব্যর্থ হচ্ছে।

এই সংঘাতের কিারণে ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারিতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে ধালণা করা হচ্ছে। এই নির্বাচনে আবারও লড়াই করছেন মুহাম্মাদু বুহারি। বলা হচ্ছে তার নির্বাচনী প্রচারণার মাধ্যমেও সংঘাত উষ্কে দেওয়া হচ্ছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে জমি উর্বরতা হারাচ্ছে ও খরা দেখা দিচ্ছে। সেকারণেই সহিংসতার ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।  বিবৃতিতে অ্যামেনেস্টি জানায়, ‘সাম্প্রদায়িক সংঘাত বন্ধে নাইজেরীয় সরকার ব্যর্থ। দেশজুড়েই এমন সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এই বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি দেশটির পুলিশ কিংবা সেনাবাহিনী।

অ্যামনেস্টির নাইজেরীয় পরিচালক ওসাই ওজিগো বলেন, এই হামলাগুলো পূর্বপরিকল্পিত। এই সংঘাতে মেশিন গান ও একে-৪৭ও ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু কর্র্তপক্ষ এসব বন্ধে তেমন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। অ্যামনেস্টি জানায়, বোকো হারামের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর লড়াইয়ের চেয়ে এই সংঘর্ষে ছয়গুণ বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।