যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসী পাঠানোর দায়ে গ্রেফতার ৪৯

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে দেশটিতে অবৈধভাবে অভিবাসী পাচারকারী নেটওয়ার্কগুলোর বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান চালিয়েছে ইন্টারপোল। এ সময় বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালসহ বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী পাচারের দায়ে ৪৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন আন্দেজ। মঙ্গলবার ইন্টারপোলের এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

nonameদক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের ১১টি দেশে এই অভিযান পরিচালনা করে ইন্টারপোল। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত পাড়ি দিয়ে দেশটিতে প্রবেশের জন্য দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীদের কাছে এই অঞ্চলটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

পাচারকারীরা বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের অভিবাসীদের কাছ থেকে তাদের যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর জন্য জনপ্রতি ১৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার ডলার নিয়ে থাকে। অনেকে নিজেদের ঘরবাড়ি বিক্রি করে এ অর্থের যোগান দেয়।

২০১৮ সালে কলম্বিয়ায় মানব পাচারের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের স্পেশালাইজড অপারেশনাল নেটওয়ার্ক বিষয়ক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠক থেকেই অপারেশন আন্দেজ নামের চারদিনের এ অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়।

ইন্টারপোল জানিয়েছে, অভিযানে ১১টি দেশের কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন। মানব পাচারের রুট ভেঙে দিতে তারা সীমান্ত এলাকায় সড়ক, নৌ এবং বিমান পথে প্রায় ৪৪ হাজার মানুষকে পরীক্ষা করেছেন। তাদের বিশেষ টার্গেট ছিল সংঘবদ্ধ মানবপাচারী নেটওয়ার্কগুলো।

উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বিষয়ে আরও কঠোর হয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধেও অভিবাসীদের প্রতি বেশি নমনীয় হওয়ার অভিযোগ তোলেন ট্রাম্প। তার দাবি, হিলারি ক্লিনটনের অভিবাসন নীতি ছিল অতিমাত্রায় শিথিল; যা আমেরিকার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারণার মূল বিষয়বস্তুও ছিল এই অভিবাসন ইস্যু। নির্বাচনি প্রচারণায় তিনি দাবি করেন, মেক্সিকোর বেশিরভাগ অভিবাসী মাদক পাচারকারী ও ধর্ষক।