ড্রোনে করে প্রত্যন্ত দ্বীপে পৌঁছালো শিশুর টিকা

প্রথমবারের মতো টিকা বহনের ক্ষেত্রে ড্রোন ব্যবহার করলো ইউনিসেফ। ভানুয়াতুর প্রত্যন্ত ছোট একটি দ্বীপে মনুষ্যবিহীন যান বা ড্রোনে করে টিকা পাঠিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থাটি। এর মাধ্যমে জরুরি টিকা দেওয়া হয়েছে ১৩ শিশু ও পাঁচ গর্ভবতী নারীকে।  ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

_104870435_un0265456-1

প্রতিবেদনে বলা হয়, ৪০ কিলোমিটার আকাশে উড়ে ভানুয়াতুর পাহাড়ি এলাকা পাড়ি দেয় ড্রোনটি। অন্যথায় এই পথ পারি দিতে অনেক সময় লেগে যেতো।  সরবরাহ ব্যবস্থা কঠিন বলে দেশটির ২০ শতাংশ শিশুই সময়মতো টিকা পায় না।

ইউনিসেফ জানায়, তারা আশাবাদী যে ভবিষ্যতে ড্রোনের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে আরও টিকা পাঠানো হবে। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক হেনরিটা ফোর বলেন, ‘আজকের এই ছোট ফ্লাইট ভবিষ্যতের বিশ্ব স্বাস্থ্য সেবায় বড় পদক্ষেপের দ্বার উন্মোচন করলো।’

হেনরিটা বলেন, ‘এখনও শিশুদের কাছে শতভাগ পৌঁছাতে হিমশিম খেতে হয় আমাদের। ড্রোন প্রযুক্তি সেই সংকট অনেকটাই দূর করতে পারে। আমরা প্রত্যেক শিশুর কাছে পৌঁছাতে পারবো।’

এর আগেও ওষুধ সরবরাহের কাজে ড্রোন ব্যবহার করা হলেও কোনও বাণিজ্যিক ড্রোনের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে টিকা পৌঁছে দেওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম। প্রজেক্ট ভানুয়াতু নামে এই প্রকল্পে অংশ নিতে দুটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছিলো। শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার সুপ অ্যারো এই কাজটি পায়।

স্টিরোফোম বাক্সে করে এই টিকাগুলো নিয়ে যায় ড্রোনটি। বৈরি তাপমাত্রায় পাড়ি দিয়ে এরোমাঙ্গো দ্বীপের গ্রামটিতে পৌছায়। এরপর স্থানীয় নার্স মিরিয়াম নামপিল সেটার মাধ্যমে ১৩ জন শিশু ও পাঁচজন গর্ভবতী নারীকে টিকা দেন।

ড্রোন ছাড়া ওই অঞ্চলে শুধু পাঁয়ে হেঁটে কিংবা নৌকায় করে যাওয়া সম্ভব। কিন্তু দুই ক্ষেত্রেই অনেক সময় লেগে যায়। ড্রোনটি যেতে সেখানে সময় লেগেছে মাত্র ২৫ মিনিট।

নামপিল বলেন, বৃষ্টির মধ্যে নদী, পাহাড় ও পাথুরে রাস্তা পেরিয়ে ওষুধ বহন করা খুবই কঠিন। টিকা দিতে সেক্ষেত্রে হয়তো মাসে একবারই যাওয়া সম্ভব। কিন্তু এই ড্রোনের সাহায্যে কাজটি অনেক সহজ হয়ে গেল।’