গভীর নলকূপের ফলে বাংলাদেশে কমেছে আর্সেনিকের ভয়াবহতা

গভীর নলকূপের ফলে বাংলাদেশে কমেছে আর্সেনিকের বিষক্রিয়ার ভয়াবহতা। অথচ এক সময় দেশজুড়ে আর্সেনিকের এ হুমকির মুখে ছিল সাধারণ মানুষ। কয়েক দশক ধরে বিষাক্ত এ উপাদানের সঙ্গে লড়াই করেছে বাংলাদেশ। এর প্রধান উৎস ছিল অগভীর নলকূপ। এর ভয়াবহতা এতটাই বিকট ছিল যে, প্রতি ২০টি মৃত্যুর মধ্যে একটির কারণ ছিল এই আর্সেনিক। 

nonameভালো খবর হচ্ছে, টিউবওয়েল থেকে পাওয়া ভূগর্ভস্থ পানির দূষণ কমেছে। ২০০০ সালে ছয় হাজার টিউবওয়েলের পানি নিয়ে একটি গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, প্রায় ৭৫ শতাংশ নলকূপের প্রতি লিটার পানিতে আর্সেনিকের পরিমাণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত ১০ মাইক্রোগ্রাম অতিক্রম করেছে। তবে সম্প্রতি ৫০ হাজার নলকূপের ওপর চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে, এর পরিমাণ ৭৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে।

হিমালয়ের নিম্ন প্রবাহের মতো অন্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশের ভূগর্ভস্থ পানির সঙ্গে কয়লা সালফাইড খনিজগুলোর নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। এ থেকে পানিতে আর্সেনিক দ্রবীভূত হতে পারে।

কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ল্যামন্ট-ডোহার্টি আর্থ অবজারভেটরি’র গবেষণা বিষয়ক অধ্যাপক আলেকজান্ডার ভ্যান গিন। তিনি বলেন, ১৯৭০ সাল থেকে বাংলাদেশের পানিতে এই বিষাক্ত উপাদানের আবির্ভাব। ওই সময়ে গ্রামবাসীরা পানিতে জীবাণুর উপস্থিতি এড়াতে সস্তায় পিভিসি নলকূপ স্থাপন শুরু করে। কিন্তু তারা জানতো না যে, এর মধ্য দিয়ে তারা বিপজ্জনক আর্সেনিকের স্তর ডেকে নিয়ে আসছে।

গভীর নলকূপের পানি দূষিত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। নিরাপদ পানির জন্য ১৫০ মিটার গভীর নলকূপের কথা বলা হয়। গভীর নলকূপের মাধ্যমে নিরাপদ পানির ব্যাপারে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে। সূত্র: জিওগ্রাফিকাল।