ইকোনমিক ফোরামে প্রতিনিধি দলও পাঠাবেন না ট্রাম্প

সুইজারল্যান্ডের দাভোসে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে যাওয়ার সিদ্ধান্ত আগেই বাতিল করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে চলমান আংশিক শাটডাউন পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে প্রতিনিধি দলকেও এ সম্মেলনে না পাঠানোর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এর আগে, মার্কিন প্রশাসনের দুই কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, এ বছর ইকোনমিক ফোরামে ট্রাম্পের বদলে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন এমনুচিন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলকে নেতৃত্ব দিতে পারেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প
আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। গত বছর দাভোসে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন ট্রাম্প। এ বছর আবারও সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। তবে প্রায় এক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রে চলা আংশিক অচলাবস্থাকে (শাটডাউন) কেন্দ্র করে সিদ্ধান্ত পাল্টাতে বাধ্য হন ট্রাম্প। এক সপ্তাহ আগে এক টুইটার বার্তায় ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তিনি এবারের সম্মেলনে যাচ্ছেন না। তবে প্রতিনিধি দলকে সম্মেলনে পাঠানোর কথা ছিল। এবার সে সিদ্ধান্তও বাতিল করার কথা জানালো হোয়াইট হাউস।

বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আট লাখ মার্কিন কর্মী বেতন পাচ্ছেন না। তাদের কথা মাথায় রেখে এবং নিজ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করতে ট্রাম্প সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন।’

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন এমনুচিন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে যৌথভাবে বক্তব্য দেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। জি সেভেনভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীদের জন্য যৌথভাবে নৈশভোজেরও আয়োজন করার কথা ছিল তাদের। ওই নৈশভোজের আয়োজনে জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনেতিক ইস্যু নিয়ে জি সেভেনভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনার কথা ছিল।

উল্লেখ্য, ২২ ডিসেম্বর থেকে শাট ডাউন বা সরকারের অচলাবস্থার পড়েছে মার্কিন প্রশাসনের একাংশ। অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত না হওয়ায় বাধ্যতামূলক ছুটি বা বেতন ছাড়াই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন লাখ লাখ সরকারি কর্মী। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি অর্থ বরাদ্দের কোনও প্রস্তাব কার্যকর করাতে সংশ্লিষ্ট বিলকে দুই কক্ষের অনুমোদন ছাড়াও পেতে হয় প্রেসিডেন্টের সম্মতি। সর্বশেষ অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাবে দেয়াল নির্মাণে ৫০০ কোটি ডলার বরাদ্দে ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা একমত না হওয়ায় তাতে সম্মতি দিতে অস্বীকার করেন ট্রাম্প। হাউস অব রিপ্রেজেন্টিটিভে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় বিল পাস করাতে ডেমোক্র্যাটদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে ট্রাম্পকে। তবে দেয়াল নির্মাণে বরাদ্দের প্রশ্নে অনড় অবস্থানে রয়েছেন তিনি।