যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) কর্মকর্তা জুলহাস মান্নান হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেছে ওয়াশিংটন। তিন বছর আগে ঢাকায় ইসলামি উগ্রপন্থীদের হাতে খুন হন জুলহাস।
ইউএসএআইডি-র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রায় তিন বছর আগে ঢাকায় খুন হওয়া জুলহাস মান্নানের খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে বাংলাদেশের প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্ক গ্রিন।
সাক্ষাৎকালে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় পররাষ্ট্র সচিবের কাছে বাংলাদেশের প্রশংসা করেন মার্ক গ্রিন।
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাবেক প্রটোকল কর্মকর্তা এবং সমকামীদের অধিকার বিষয়ক সাময়িকী ‘রূপবান’-এর সম্পাদক ছিলেন জুলহাস মান্নান। ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগান লেক সার্কাস এলাকার বাসায় ঢুকে জুলহাস এবং তার বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করে জঙ্গিরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, খুনিরা সংখ্যায় ছিল ৫ জন।
ওই সময় পুলিশ কর্মকর্তারা জানতে পারেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের একটি ‘স্লিপার সেল’ এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত। যারা ২০১৩ সাল থেকে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ব্লগার, লেখক, প্রকাশক ও ভিন্নমতাবলম্বীদের টার্গেট করে হত্যা করে আসছিল। আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদার অনুসারী আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশে আগে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামে তাদের কার্যক্রম চালাতো। জুলহাস-তনয় হত্যাকাণ্ডের পর আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশের শাখা আল কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট (একিউআইএস) টুইটার বার্তায় এর দায় স্বীকার করে।
এদিকে বাংলাদেশে নতুন সরকার গঠনের পর যুক্তরাষ্ট্রে পররাষ্ট্র সচিবের এ সফর দুই দেশের মধ্যে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ধরনের সফর। তার এ সফরের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে আশ্বস্ত করা।
ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট ফর পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স ডেভিড হ্যালে-র সঙ্গেও বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। এছাড়া ট্রাম্প প্রশাসনের সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়া বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।
পেন্টাগন, ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গেও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের কথা রয়েছে।