ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে চাপের মুখে করবিন

ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে চাপের মুখে রয়েছে যুক্তরাজ্যের বিরোধীদলীয় নেতা জেরেমি করবিন। সম্প্রতি তার দলের ছায়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্তব্য করেন, মাদুরোকে লেবার পার্টির প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয়। মানবাধিকারের বিষয়ে কোনও ছাড় নয়। মূলত তার এমন বক্তব্যের পরই বিষয়টি নিয়ে বিপাকে পড়েন করবিন।

জেরেমি করবিনযুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাদুরোর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যর্থতার অভিযোগ সত্ত্বেও তার সমালোচনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে করবিন।

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ সরকারের নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও বিরোধী করবিন। তিনি দেশটিতে সব ধরনের ‘বাইরের হস্তক্ষেপের’ বিরোধী। দেশটির ভবিষ্যৎ সে দেশের নাগরিকদের ওপরই ছেড়ে দিতে চান তিনি।

লেবার পার্টির ছায়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমিলি থর্নবেরি অবশ্য এ বিষয়ে করবিনের সঙ্গে একমত নন। তিনি মনে করেন, নিজেদের সমাজতান্ত্রিক দাবি করে যারা সমাজতন্ত্রের প্রতিটি আদর্শের সঙ্গে বেঈমানি করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

মাদুরোর বিরুদ্ধে শুরু থেকেই তৎপর যুক্তরাজ্যের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেনসহ অপরাপর ইউরোপীয় দেশগুলোও স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুইদোকে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে।

দৃশ্যত লেবার পার্টি ক্ষমতায় এলে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাবেন এমিলি থর্নবেরি। তবে কোনও ইস্যুতে করবিনের চেয়ে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির সঙ্গে তার মতৈক্যের ঘটনা এটাই প্রথম নয়।

২০১৮ সালের ৪ মার্চ যুক্তরাজ্যের সালসবেরি শহরে পক্ষত্যাগী রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল এবং তার ৩৩ বছরের কন্যা ইউলিয়ার ওপর রাসায়নিক হামলার ঘটনায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন এমিলি থর্নবেরি। ওই ঘটনার সমালোচনায় করবিনের চেয়ে তার আওয়াজ ছিল অনেক বেশি স্পষ্ট ও জোরালো।