আইএসে যোগ দেওয়া ব্রিটিশ-বাংলাদেশি

শামীমাকে ফেরাতে কর্মকর্তাদের ঝুঁকিতে ফেলবে না যুক্তরাজ্য

আইএসে যোগ দিতে সিরিয়া ও ইরাকে যাওয়া নাগরিকদের উদ্ধার করতে পাঠিয়ে  কর্মকর্তাদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে চান না বলে জানিয়েছেন ব্রিটেনের নিরাপত্তামন্ত্রী বেন ওয়ালেস। বিবিসির রেডিও-ফোর এর অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সব কাজেরই কর্মফল ভোগ করতে হয়। আইএসে যোগ দিতে সিরিয়া যাওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগম ফিরতে চান বলে খবর প্রকোশের পর এমন মন্তব্য করলেন ব্রিটিশ নিরাপত্তামন্ত্রী।

শামীমা বেগম

চার বছর আগে আইএসে যোগ দিতে পূর্ব লন্ডনের বেথনেল গ্রিন থেকে সিরিয়ায় পাড়ি জমানো তিন জনের একজন ছিলেন শামীমা বেগম। উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবির থেকে সম্প্রতি দ্য টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্রিটেনে ফেরার আগ্রহের কথা জানান তিনি। অপুষ্টি আর অসুস্থতায় নিজের দুই সন্তানের মৃত্যু দেখা শামীমা এখন ৯ মাসের গর্ভবতী। দ্য টাইমসকে তিনি বলেন, যেকোনও ভাবেই হোক আমি ব্রিটেনে বাড়িতে যেতে চাই। তৃতীয় সন্তান যেনও অন্তত ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সুবিধা পায় সেই প্রত্যাশার কথা বলেন তিনি।

শামীমার প্রসঙ্গে বেন ওয়ালেস বলেন, ‘কোনও ব্যর্থ রাষ্ট্রে এক সন্ত্রাসী বা সাবেক সন্ত্রাসীকে খুঁজতে পাঠিয়ে আমি কোনও ব্রিটিশ নাগরিকের জীবন ঝুঁকিতে ফেলব না’।  তিনি আরও বলেন, ব্রিটিশ নাগরিক হিসেবে শামীমার দেশে ফেরার অধিকার রয়েছে। তবে আইএসে যোগ দেওয়া কোনও ব্যক্তিকে অবশ্যই তদন্ত, সাক্ষাৎকার এবং অন্তত বিচারের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

বর্তমানে সিরিয়ায় ব্রিটেনের কোনও কূটনীতিক নেই জানিয়ে ওয়ালেস বলেন, শামীমা যুক্তরাজ্যে ফিরতে চাইলে তাকে নিজের মতো করে তুরস্ক বা ইরাকে পৌঁছে সেখানকার কনস্যুলার সেবা নিতে হবে।

পালানোর সময়ে শামীমার বয়স মাত্র ১৫ বছর ছিল। সেক্ষেত্রে তাকে স্বরাষ্ট্র দফতর কোনও সহানুভূতি দেখাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওয়ালেস বলেন, মানুষ জানে তারা কোথায় যোগ দিয়েছে। তারা হলো বিশ্বের অন্যতম নিকৃষ্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, যারা মানুষের গলা কেটেছে আর অসংখ্য ব্রিটিশ নাগরিক হত্যায় দায়ী।